নিহত প্রতি শ্রমিক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি গার্মেন্ট শ্রমিক শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চের

প্রকাশিত: ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২১

নিহত প্রতি শ্রমিক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি গার্মেন্ট শ্রমিক শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চের

Manual2 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ১১ জুলাই ২০২১ : রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে নিহত প্রতি শ্রমিক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চ।

Manual1 Ad Code

আজ রবিবার (১১ জুলাই ২০২১) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে গার্মেন্ট শ্রমিক শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট শ্রমিক শিল্প রক্ষা জাতীয় মঞ্চের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মঞ্চের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা তপন সাহা, রফিকুল ইসলাম সুজন, লাভলী ইয়াসমিন, শামীমা আক্তার, গোলাম ফারুক, হুমায়ুন মুজিব, আজিজা সুলতানা প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ রূপগঞ্জের অগ্নিকান্ডে নিহত ও আহত শ্রমিকদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, এটা নিছক অগ্নিদুর্ঘটনা নয়, এটা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলায় জড়িত হত্যাকান্ড। এই দুর্ঘটনার দায় যেমন মালিকের রয়েছে তেনমিতভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরও এই দায় এড়াতে পারেন না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্ব হচ্ছে কারখানায় শ্রম আইনের বিধি-বিধান মানা হচ্ছে কিনা তা পরিবিক্ষণ করা। কিন্তু আমরা জানি সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ ক্ষেত্রে অসাধু পন্থা অবলম্বন করে যার খেসারত হিসেবে এই অগ্নি দুর্ঘটনা।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দাবি স্থাপন করেন দাবি সমূহ নিম্নে প্রদান করা হলো-
১। নিহত প্রতি শ্রমিক পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা ও বেঁচে থাকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
২। সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।
৩। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তি প্রদান করতে হবে।
৪। প্রতিটি শিল্প কারখানায় বিল্ডিং কোর্ট এবং কারখানা আইন মেনে চলছে কিনা তা পরিবিক্ষণ করতে হবে।
রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “নিহত প্রতি শ্রমিক পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা ও বেঁচে থাকার ক্ষতিপূরণ, সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ, ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তি প্রদান সহ প্রতিটি শিল্প কারখানায় বিল্ডিং কোর্ট এবং কারখানা আইন মেনে চলছে কিনা তা পরিবিক্ষণ করতে হবে।”

Manual2 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code