সিলেট ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২১
বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ০৬ অক্টোবর ২০২১ : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক পলিটব্যুরোর সদস্য, তাত্ত্বিক ও প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, অসংখ্য গ্রন্থ প্রণেতা, বর্তমানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড হায়দার আকবর খান রনো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সম্প্রতি আমি ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস লেখক ড. মোহাম্মদ হাননানের বইটি সম্পর্কে বিভিন্ন বাদানুবাদ লক্ষ্য করেছি। আমি সকল বিষয়ে যাব না। তবে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই যে, তিনি মওলানা ভাসানী সম্পর্কে একটি অসত্য বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন বাষট্টির ছাত্র আন্দোলনের সময়ে যে ৯ নেতার বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল তাতে মওলানা ভাসানীর স্বাক্ষর ছিল না। এই ব্যাপারে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সরকারের সঙ্গে ভাসানীর সখ্যতা ছিল বলেই তিনি এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিতে সম্মত হন নি। কথাটি যে ভুল সে কথা আমি তাকে কয়েক বছর আগে ফোনে জানিয়েছি। তবু তিনি ভুল সংশোধন না করে পত্রিকায় একই বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করেছেন। বস্তুত ৯ নেতার বিবৃতিতে ভাসানীর স্বাক্ষর থাকার কোনো প্রশ্নই উঠে না। কারণ তিনি বন্দি ছিলেন। ড. মোহাম্মদ হাননানের জ্ঞাতার্থে এবং পাঠকদের জানার জন্য এই সংক্রান্ত কয়েকটি তারিখ উল্লেখ করছি। ১৯৫৮ সালের ১২ অক্টোবর মওলানা ভাসানীকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করে আইয়ুব সামরিক সরকার। তারপরে তিনি ঢাকায় একটানা বন্দি ছিলেন ১৯৬২ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। পরবর্তীতে কৃষকদের কয়েকটি দাবি নিয়ে অনশন করলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন তলায় ১০ নম্বর কেবিনে তিনি বন্দি ছিলেন। ৯ নেতার বিবৃতি স্বাক্ষরিত হয়েছে ১৯৬২ সালের ২৪ জুন। অতএব একজন বন্দি নেতাকে সরকারের সহযোগী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করাটা যথার্থ কিনা তা পাঠকরাই বিচার করবেন। ড. মোহাম্মদ হাননানকে আমি অনুরোধ জানাবো ইতিহাস লেখায় হাত দেয়ার আগে কিছুটা গবেষণাও করা দরকার। কোন বিশেষ ব্যক্তি বা রাজনৈতিক নেতাকে কারও পছন্দ হতে অথবা না হতে পারে। কিন্তু তথ্য সঠিক না হলে তাকে ইতিহাসবিদ বা গবেষক কোনটাই বলা যায় না।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D