মন্দির ভাংচুর ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত: ওয়ার্কার্স পার্টি

প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২১

মন্দির ভাংচুর ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত: ওয়ার্কার্স পার্টি

রাজনৈতিক প্রতিবেদক | ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০২১ : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে কুমিল্লার পুজামন্ডপে কোরান অবমাননার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে পুজামন্ডপ, প্রতিমা, মন্দির ভাংচুর ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ীঘর আক্রমণের প্রতিবাদে এবং সরকার ও আইনশৃংখলা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আগামী ২৩ অক্টোবর শনিবার হিন্দু- বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের ৬ ঘন্টার অনশন ও গণঅবস্থানের কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে এ ধরণের অন্যায় ও অপরাধমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি ও রাজনৈতিক সমাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী, সামাজিক সংগঠন, নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করতেও আহবান জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয় দুর্গাপুজার অষ্টমীর দিন এই ঘটনাবলির পর নবমী, দশমী ও পুজা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও একাদশীতে দেশের বেশ কিছু জায়গায় মন্দির ভাঙচুর ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার যে ঘটনা ঘটেছে তাতে বিচ্ছিন্ন বিষয় বলে আখ্যায়িত করা যায় না। খুবই পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং এখনও অব্যাহত রাখা হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে চৌমুহনীতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারির ভূমিকা সম্পর্কে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশ সত্বেও তাদের নিশ্চেষ্ট ভূমিকা প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয় শর্ষের মধ্যে ভুত থাকলে সেই শর্ষে দিয়ে ভুত তাড়ানো যায় না।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলকে পরস্পরের প্রতি দোষারোপের রাজনীতি ছেড়ে এই সাম্প্রদায়িক ঘটনাবলির পিছনের ষড়যন্ত্রের প্রকৃত শক্তিকে চিহ্নিত করা, দলমত না দেখে দোষাী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের আহবান জানান হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ