আসন্ন কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবীতে শ্রীমঙ্গলে সনাকের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২১

আসন্ন কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবীতে শ্রীমঙ্গলে সনাকের মানববন্ধন

সৈয়দ অারমান জামী, বিশেষ প্রতিনিধি | শ্রীমঙ্গল, ৩১ অক্টোবর ২০২১ : যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে আসন্ন কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে কয়লাভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসার ও প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবীতে শ্রীমঙ্গলে সনাকের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৩১ অক্টোবর ২০২১) সকাল ১১টায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর উদ্যোগে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীভবাজার রোডস্থ টিআইবি’র অফিস প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সনাকের শ্রীমঙ্গল শাখার সভাপতি কবি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে ও টিআইটি এরিয়া কো- অর্ডিনেটর পারভেজ কৈরী’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান; চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সনাক সদস্য শিক্ষক জহর তরফদার, এশিয়া টিভি’র শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এস কে দাস সুমন, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও স্বজন সদস্য সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ, স্বজন সহ আহবায়ক নিতেশ সুত্রধর প্রমুখ।
মানববন্ধনে উপজেরা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপ্রক)-এর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রউফ তালুকদার, উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সনাক সদস্য শিক্ষক কবিতা রানী দাশ, কবি জাভেদ ভূইয়াসহ সনাক, স্বজন, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডসসহ অন্যারা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে আসন্ন কপ-২৬ সম্মেলন টিআইবি’র প্রত্যাশা এবং বাংলাদেশ কর্তৃক ওই সম্মেলনে উত্থাপনযোগ্য ৮টি দাবী তুলে ধরা হয়।

দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে,
জলবায়ু বিষয়ক নীতি নিধারণে জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিদের অনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইএনডিসিসহ প্রশমন বিষয়ক সকল কার্যক্রমে উন্নত দেশগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে শতভাগ জ¦ালানি উৎপাদনে উন্নত দেশগুলোকে পর্যাপ্ত জলবায়ু তহবিল, প্রযুক্তি হস্থস্থার ও কারিগরি সহায়তা প্রদানে সিভিএফ এর পক্ষ থেকে সমন্বিতভাবে দাবী উত্থাপন করতে হবে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে উন্নত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল প্রদান করতে হবে, জিসিএফসহ জলবায়ু তহবিলে ঋণ নয়, অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে ক্ষতিপুরণের টাকা অনুদান হিসাবে প্রদান করতে হবে, দূর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় একটি ক্ষয়-ক্ষতি বিষয়ক আলাদা তহবিল গঠন করতে হবে, ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন স্বচ্ছতার সাথে প্রস্তুতে একটি গাইডলাইন তৈরী করতে হবে এবং ঝুঁকি বিনিময়ে বীমার পরিবর্তে অনুদান ভিত্তিক ক্ষতিপুূরণ প্রদান করতে হবে, জিসিএফ এরস্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করে যথাসময়ে ও দ্রুততার সাথে প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ ছাড় করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ দেশে অভিযোজন এবং প্রশমন বিষয়ক ৫০ঃ৫০ অনুপাত মেনে অর্থায়ন করতে হবে।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ