বাংলাদেশকে আঞ্চলিক নেতা ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা

প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১

বাংলাদেশকে আঞ্চলিক নেতা ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ : মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডিন থম্পসন বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নেতা ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন।তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক নেতা ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। আমাদের অংশীদারিত্ব আগামী ৫০ বছরে বয়ে আনবে এমন অনেক সুযোগ বাস্তবায়নে আসুন আমরা একসাথে কাজ করি।’

আজ এখানে প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সকাল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথ অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারে যোগদানের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারাও প্রধানমন্ত্রী ও গোটা জাতির সঙ্গে শপথ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশের কূটনীতিক ও দূতাবাস স্টাফদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরআগে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বার্তা পাঠ করা হয়।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর পর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ও সম্মানিত অতিথি ডিন থম্পসন তাদের বক্তব্য রাখেন।
ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন, যিনি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে সমগ্র জাতির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লক্ষ শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা দুই লাখ নারীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, আমরা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কোন মতপার্থক্য পরিহার করে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
একটি মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।