সংকট থেকে উত্তরণে দেশে বামপন্থার উত্থান ঘটানোর আহবান কমিউনিস্ট পার্টির

প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২২

সংকট থেকে উত্তরণে দেশে বামপন্থার উত্থান ঘটানোর আহবান কমিউনিস্ট পার্টির

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২০ জানুয়ারি ২০২২ : দেশকে গভীর সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দেশে বামপন্থার উত্থান ঘটানোর আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ( সিপিবি) সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।তিনি বলেন, দেশ এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা আজ চরম আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হলে বামপন্থার উত্থান ঘটাতে হবে।

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মহাসমাবেশে বোমা হামলার ২১তম বার্ষিকীতে হামলায় শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি ২০২২) পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের সামনে এ সমাবেশ হয়।

সেলিম আরও বলেন, হামলার পর জনগণের আরও বেশি অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সিপিবি এগিয়ে যাচ্ছে। অশুভ শক্তির হীন উদ্দেশ্য সফল হয়নি। এখনও নানা ষড়যন্ত্র চলছে। পল্টন বোমা হামলার মূল কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

সিপিবি সভাপতি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমানে দেশ ‘৯৯ বনাম ১’ এইভাবে বিভক্ত। এই ৯৯ ভাগ মানুষ যাতে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে না পারে তার জন্য নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। সেদিন কমিউনিস্টদের স্তব্ধ করার জন্য বোমা হামলা চালানো হয়েছিল, যাতে কমিউনিস্ট পার্টি মানুষকে নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি শামসুজ্জামান হীরা, ঢাকা জেলার সভাপতি সুকান্ত শফি কমল, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন, ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক লুনা নূর, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাদেকুর রহমান শামীম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ-মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য জহিরুল ইসলাম, গণফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আহসান হাবীব লাবলু।

শহীদদের জন্য অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, ন্যাপ, গণফোরাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, গার্মেন্ট টিইউসি, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ, সিপিবি ঢাকা উত্তর, সিপিবি ঢাকা জেলা কমিটি, সিপিবি নারী সেল এবং ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও শাখাসহ বিভিন্ন সংগঠন।

পল্টন শহীদদের স্মৃতির প্রতি ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা নিবেদন

আজ ২০ জানুয়ারি পল্টন শহীদ দিবস।
২০০১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির লাল পতাকা জনসভা চলাকালে পল্টন ময়দানে উপর্যুপরি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে কমিউনিস্ট পার্টির কমরেড হিমাংশু-মজিদ-হাসেম-মোক্তার-বিপ্রদাস প্রাণ হারায়, অসংখ্যা কমরেড মারাত্মকভাবে আহত হন।
কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে সামনে অস্থায়ী বেদিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে আজ সকাল ১০:১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক-এর নেতৃত্বে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করা হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কমরেড কামরূল আহসান, কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড আবুল হোসাইন, কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন, কমরেড মুর্শিদা আখতার নাহার, কমরেড মুতাসিম বিল্লাহ সানী, ঢাকা মহানগর নেতা কমরেড আবদুল আহাদ মিনার, কমরেড ওমর ফারুক সুমন, কমরেড সজিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।