মৌলভীবাজারে করোনা শনাক্তের হার ছাড়াল ৩৯ শতাংশ

প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২২

মৌলভীবাজারে করোনা শনাক্তের হার ছাড়াল ৩৯ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | মৌলভীবাজার, ২১ জানুয়ারি ২০২২ : মৌলভীবাজার জেলায় বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ইতোমধ্যে এ জেলায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ৩৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি ২০২২) সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দৈনিক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্যই জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে মৌলভীবাজারের ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ।

এই সময়ে করোনা আক্রান্ত কেউ সুস্থ বা মৃত্যুবরণ করেন নি। তবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন একজন করোনা রোগী।

নতুন শনাক্ত ৭৬ জনের মধ্যে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নমুনা প্রদানকারীদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ জনের। এর বাইরে বড়লেখায় ২১, কুলাউড়ায় ১৩ জন, কমলগঞ্জে ৪ জন, রাজনগরে ৩ জন, সদরে ৩ জন এবং শ্রীমঙ্গলে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৯৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৯১ জন। মারা গেছেন ৭২ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮ জন। হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ১৯ জন। বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮২০ জন।

মৌলভীবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান সকলকে করোনা টেস্টের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, “জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ভয়-ভীতির কোনো সুযোগ নাই। তবে বিশ্বে অধিকাংশ মানুষের শরীরে ইমিউন বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত করোনা মহামারি অব্যাহত থাকবে বলে মনে হচ্ছে। আমার ধারনা প্রত্যেকে এই ওমিক্রনে আক্রান্ত হবে। দুর্ভাগ্যবশত এই মহামারি অবসানের আমি কোন বৈজ্ঞানিক কারন দেখছি না।
নিজেদের সুরক্ষার প্রয়োজনেই সবাইকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান সহ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে ও করোনার টিকা নিতে হবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত মহামারি প্রতিরোধে অন্য অনেক উপজেলার তুলনায় শ্রীমঙ্গল এগিয়ে। জনগণকে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম যাতে না হয় সে দিকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।”