বহুমাত্রিক লেখক, ভাষাবিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদের জন্মবার্ষিকী অাজ

প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২২

বহুমাত্রিক লেখক, ভাষাবিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদের জন্মবার্ষিকী অাজ

সাহিত্য বিষয়ক প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২২ : বাংলাদেশের একজন প্রথাবিরোধী বহুমাত্রিক লেখক, ভাষাবিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী, কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, সমালোচক, রাজনীতিক ভাষ্যকার, কিশোরসাহিত্যিক, গবেষক এবং অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী অাজ।
তিনি ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠান ও সংস্কারবিরোধিতা, যৌনতা, নারীবাদ ও রাজনীতি বিষয়ে তাঁর বক্তব্যের জন্য ১৯৮০-এর দশক থেকে পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন ।

অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ প্রথাগত ধ্যানধারা সচেতনভাবে পরিহার করতেন। তাঁর সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য পল্লীপ্রেম, নর-নারীর প্রেম, প্রগতিবাদিতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা, সামরিক শাসন ও একনায়কতন্ত্রের বিরোধিতা এবং নারীবাদের জন্য পরিচিত। তাঁর ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং ব্যক্তিগত অভীষ্ট তাঁর সাহিত্যকে প্রভাবান্বিত করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে প্রগতিশীল মতামত প্রকাশ করেছিলেন ৷

অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদের ৭টি কাব্য, ১২টি উপন্যাস, ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, ৭টি ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক, ৮টি কিশোরসাহিত্য ও অন্যান্য প্রবন্ধসংকলন মিলিয়ে ৬০টিরও অধিক গ্রন্থ তাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যু পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত হয়। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর নারীবাদী গবেষণা-সংকলনমূলক গ্রন্থ ‘নারী’ প্রকাশের পর বিতর্কের সৃষ্টি করে এবং ১৯৯৫ থেকে ২০০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সাড়ে চার বছর ধরে বইটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ছিল। এটি তাঁর বহুল আলোচিত গবেষণামূলক কাজ হিসাবেও স্বীকৃত ।

এছাড়াও তাঁর ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ উপন্যাসটি পাঠকমহলে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল ৷ এই উপন্যাসটিতে মৌলবাদীদের সমালোচনা করার কারণে, ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি তিনি বইমেলার বাহিরে মৌলবাদীদের নৃশংস হামলার শিকার হন। পরবর্তীতে জার্মানিতে পিএইচডি করতে গেলে, ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ১২ই আগস্ট জার্মানির মিউনিখ শহরের নিজ ঘর থেকে আকস্মিকভাবে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় ৷

ড. হুমায়ুন আজাদ স্যার, ২৮শে এপ্রিল ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মাতামহের বাড়ি, তৎকালীন বিক্রমপুরের কামারগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন৷
আজ এই মনীষীর জন্মবার্ষিকীতে জানাই অন্তর্লীন শ্রদ্ধার্ঘ্য ও সশ্রদ্ধ সম্মান ৷

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ