লোকসান দেখিয়ে বন্ধ হয়ে যায় ন্যারোগেজ রেললাইন

প্রকাশিত: ৩:১৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৮, ২০২২

লোকসান দেখিয়ে বন্ধ হয়ে যায় ন্যারোগেজ রেললাইন

শাহনাজ শারমিন | বাগেরহাট, ০৮ মে ২০২২ : আসুন রেলের ইতিহাস পড়ি-লোকসান দেখিয়ে বন্ধ হয়ে যায় ন্যারোগেজ রেললাইন। পেছনে থাকে বাস কোম্পানির কারসাজি। নিলামে ওঠে সম্পদ। জাদুঘরে স্থান পায় রেল।

রূপসা-বাগেরহাট ন্যারোগেজ রেল সেকশন
বাংলাদেশের অন্যতম সচল ন্যারোগেজ রেলপথ ছিল রূপসা-বাগেরহাট সেকশনে। এছাড়া এটি ছিল দেশের একমাত্র বিচ্ছিন্ন রেলপথ। অর্থাৎ দেশের মূল রেল নেটওয়ার্কের সাথে এর কোনো সংযোগ ছিল না। ১৯১৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। একটি ব্রাঞ্চ লাইন কোম্পানি রেলপথটি নির্মাণ করে। নির্মাণ শেষ হয় ১৯১৮ সালে এবং সেবছরই ১০ জুন থেকে ট্রেন চলতে শুরু করে। খুলনা শহরের ওপারে পূর্ব রূপসা ঘাট থেকে থেকে বাগেরহাট পর্যন্ত এই রেলপথের দূরত্ব ছিল ৩২ কিলোমিটার। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকার লোকসানের কারণ দেখিয়ে রেলপথটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার পর ২০১২ সালে সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে এই সেকশনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এই রেলপথের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
শুধু যে বাগেরহাটের মানুষই এই ট্রেনের সুবিধা ভোগ করত তা কিন্তু নয়। বাগেরহাটের ট্রেনের সময়সূচী অনুযায়ী বাগেরহাট থেকে বরিশালগামী লঞ্চ ছাড়ত। ফলে বরিশালের মানুষও এর সুবিধা ভোগ করতে পারত। আবার খুলনা স্টেশনের ট্রেনের সময়সূচীর সাথে মিল রেখেও রূপসা-বাগেরহাটে ট্রেন চলাচল করত।

বাংলাদেশের একমাত্র ন্যারোগেজ লোকোশেড ছিল রূপসায়, যা আজ নদীগর্ভে বিলীন।
রূপসা-বাগেরহাট রেলপথ চালু থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে মোট তিন ধরনের রেল ট্রাক বিদ্যমান ছিল। ব্রডগেজ, মিটারগেজ এবং ন্যারোগেজ। ন্যারোগেজের এই সেকশনকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী রেল অফিসের সামনে এই রুটের একটি ন্যারোগেজ লোকোমোটিভ সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। এছাড়া সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপের সামনেও একটি ন্যারোগেজ লোকোমোটিভ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ