রাজা রামমোহন রায় ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভা

প্রকাশিত: ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ, মে ২৪, ২০২২

রাজা রামমোহন রায় ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভা

শান্তা অানোয়ার |

রাজা রামমোহন রায় ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তিনি বাংলা আর ইংরেজি ছাড়া আরো তিনটা ভাষা জানতেন। আরবী, সংষ্কৃত আর ফারসি। তিনি পাটনা মাদ্রাসাতেও পড়শোনা করেছেন। ধর্ম বিষয়ে তার অগাধ পাণ্ডিত্য ছিলো। একই সাথে ইসলাম ও হিন্দু ধর্মে পাণ্ডিত্য থাকার কারণে তিনি ব্রাহ্ম নামে একশ্বরবাদী নতুন ধর্ম চিন্তার প্রবর্তন করেছিলেন। সেইসময়ে মেধাবী ও সম্পন্ন হিন্দুরা দলে দলে ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষা নিচ্ছিলো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারও হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ব্রাহ্ম হয়ে যান।

একেশ্বরবাদের প্রবল এই প্রবক্তা একটা বইও লিখেছিলেন একেশ্বরবাদী ধর্ম্ভাবনা নিয়ে, নাম ছিলো তুহফৎ-উল-মুওয়াহিদ্দিন। তিনি ফারসি ভাষায় একটা সংবাদপত্র সম্পাদনা করতেন। নাম ছিলো মীরাৎ উল আখবার। এই পত্রিকার শেষ সংখ্যায় একটা ফার্সি কবিতার উদধৃতি দিয়েছিলেন সম্পাদকীয়তে। লিখেছিলেন, আব্রু কে বা-সদ খুন ই জিগর বস্ত দিহদ/বা উমেদ -ই করম-এ খাজা, বা দারবান মাফরোশ। অর্থাৎ, “যে সন্মান হৃদয়ের শত রক্তবিন্দুর বিনিময়ে ক্রীত, ওহে মহাশয়, কোন অনুগ্রহের আশায় তাকে দারোয়ানের কাছে বিক্রি করে দিওনা।”

জ্ঞান বুদ্ধিমত্তা ঔদার্যের সন্মিলন তার মধ্যে এমনভাবে মিলেমিশে একাকার হয়েছিলো, যার ফলে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সে যুগের এক নতুন মানুষ। বেঙ্গল রেনেসাঁর উজ্জ্বল আইকন। চিন্তায় মননে কর্মে এক আধুনিক মানুষ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ