উচ্চবিত্তের বাজেটে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষিত: ছাত্রমৈত্রী

প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ১২, ২০২২

উচ্চবিত্তের বাজেটে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষিত: ছাত্রমৈত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক | ঢাকা, ১২ জুন ২০২২ : ‘উচ্চবিত্তের বাজেটে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষিত।’ আজ রবিবার (১২ জুন ২০২২) বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলো।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এই বাজেটও উচ্চবিত্ত ও শিল্পপতিদের; সেখানে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে। আমরা এদেশের ছাত্র সংগঠনগুলো প্রতি অর্থবছরে শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২৫% এবং জিডিপির ৮% বরাদ্দের দাবি করে আসছি। শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পক্ষে বক্তব্য শুনে আমরা আশান্বিত হয়েছিলাম। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্য শুনে তা উবে যেতে বেশি সময় লাগেনি। নতুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বেড়েছে মাত্র দশমিক শুন্য ৯ শতাংশ। এবার প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২.০১ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ১১.৯২ শতাংশ। যা প্রতি অর্থবছরের ন্যায় গতানুগতিক।’
তারা আরো বলেন, ‘করোনাকালীন সময় থেকে শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপকহারে প্রযুক্তিগত ব্যবহার বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রয়োজনেই ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের ব্যবহার এখন অপরিহার্য একটি বিষয়। কিন্তু আমরা দেখলাম অর্থমন্ত্রী নতুন অর্থবছরে ল্যাপটপ আমদানিতে ১৫ শতাংশ করারোপ করার এবং মুঠোফোন ব্যবসায়ীদের উপর ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহত না রাখার প্রস্তাব করেছেন। অর্থাৎ প্রকারান্তরে ল্যাপটপ ও মুঠোফোনের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন তিনি। কিন্তু বলপেন কলম আমদানিতে ভ্যাট তুলে নেয়ার কারণে দাম কমলেও বই-খাতাসহ শিক্ষার অন্যান্য উপকরণের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখলেন না। এখানে অর্থমন্ত্রী কর্তৃক শিক্ষাখাত ও শিক্ষার্থীদের উপেক্ষা করার ব্যাপারটিকে স্পষ্ট করে তুলেছে।’

তারা বলেন, ‘নিত্য নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূলস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের উপরেও পড়ছে এবং আরো পড়বে। কিন্তু এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দেননি। অন্যদিকে তার প্রস্তাবিত বাজেটের খাতভিত্তিক বরাদ্দ, কর/ভ্যাট আরোপ বা হ্রাস বা মওকুফ, ভুর্তুকি বরাদ্দ, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ইত্যাদি পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে এই বাজেটে ধনিক-বণিক শ্রেণীর উচ্চবিত্ত-শিল্পপতিদের স্বার্থকেই প্রধান্য দেয়া হয়েছে। নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তকে নয়। আমরা ঘৃণাভরে শিক্ষা, শিক্ষার্থী ও নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেণী উপেক্ষিত এই বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করছি।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ