সিলেট ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০১ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২২
বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ১৮ জুন ২০২২ : “ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, কূপমন্ডুকতা ও ভোগবাদ, দুর্নীতি-লুটপাট আমাদের সমাজে তীব্র বৈষম্য সৃষ্টি করছে। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিও লুটেরা ও ধর্মান্ধদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের ঐসকল অপশক্তির বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্যের আওতায় সংগঠিত হতে হবে।” কালজয়ী সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কী’র ৮৬তম মৃত্যু দিবসে “গণতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী আন্দোলনে সাহিত্য এবং সংস্কৃতির ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ শনিবার (১৮ জুন ২০২২) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে অায়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা মামুনুর রশীদ।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী এবং বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও সাংবাদিক ইমতিয়ার শামীম।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি সহ পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর অন্যতম সদস্য জননেতা কমরেড নুর আহমদ বকুল।
সভায় প্রধান অতিথি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা ও নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, গণতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী আন্দোলনে শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতি কর্মীদের অবদানকে যেমন রাজনৈতিক কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে তেমনি তাদের সাহিত্য ও শিল্পকর্মকে আমাদের পাঠ ও অনুশীলন করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ভুলে যাচ্ছে আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক লড়াই-সংগ্রামে শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা রয়েছে।
অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী গঙ্গা অববাহিকার মানুষ, এই সমতটের মানুষ, বাংলার খেটে-খাওয়া মেহনতি মানুষ শিল্পী-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিসেবীদের দ্বারা কীভাবে আন্দোলিত হয়েছিলো, সাম্যবাদী আদর্শে শামিল হয়েছিলো, ভাষার প্রতি ও সংস্কৃতির প্রতি মমত্ববোধে অনুপ্রাণিত হয়েছিলো, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছিলো তা বিস্তৃত পরিসরে তুলে ধরেন।
আলোচক ইমতিয়ার শামীম বলেন, ম্যাক্সিম গোর্কির বই পড়ে মানুষ নিজেদের রূপান্তরিত করেছিলো। তিনি মেহনতি মানুষের চিন্তাকে বাস্তবে রূপায়িত করেছিলেন। ম্যাক্সিম গোর্কির সাহিত্যকর্ম মেহনতি মানুষকে জেগে ওঠার প্রেরণা জোগাবে এবং ছড়াবে সাম্যবাদের বাণী। তিনি জীবিত নেই কিন্তু তার সাহিত্যকর্ম তাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখবে।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D