মহান মুক্তিযুদ্ধের সুফল জাতীয়করণকৃত রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ পাট-সুতা ও বস্ত্রকল আধুনিকায়ন করে চালুর দাবী

প্রকাশিত: ২:০০ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২২

মহান মুক্তিযুদ্ধের সুফল জাতীয়করণকৃত রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ পাট-সুতা ও বস্ত্রকল আধুনিকায়ন করে চালুর দাবী

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ৩০ জুন ২০২২ : ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সুফল জাতীয়করণকৃত রাষ্ট্রায়ত্ত পাট-সুতা ও বস্ত্রকল আধুনিকায়ন করে চালুর দাবি জানানো হয়েছে।’ আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন ২০২২) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে পাট-সূতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবী করেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষার আন্দোলনে ১৭ জন শ্রমিক হত্যার স্মরণে শ্রমিক হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক প্রবীণ শ্রমিকনেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরী সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক কামরূল আহসান, মছিউদদৌল্লা, জেড.এম. কামরুল আনাম, সিরাজুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন আসলাম খান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কিশোর রায়, আনোয়ার আলী, সাহিদা আখতার শিখা, আব্দুল কাদের, মুরসিকুল শিমূল প্রমুখ।
লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে পাট-সুতা ও বস্ত্রকলগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ভুলনীতি, দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণ পরিলক্ষিত হলেও মৌলিক কারণ পুরাতন অনাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার যা আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ বলে আসলেও আমলে নেয়া হয়নি। কারখানাগুলোকে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি দ্বারা আধুনিকায়ন করে চালু করলে অবশ্যই লাভজনক শিল্পে উন্নীত করা সম্ভব যা আমাদের প্রধানতম দাবি। নি¤œবর্ণিত দাবি সম্পর্কে সার্বিক বিষয়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দ, অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দসহ অতিসত্বর আমাদের বক্তব্য জাতির সামনে উত্থাপন করবো। আজকের এই কর্মসূচিতে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য নিম্নবর্ণিত দাবি উত্থাপন করছি:
১। বন্ধকৃত পাট-সুতা ও বস্ত্রকল অটোমেশিনসহ উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি দ্বারা আধুনিকায়ন করে চালু করতে হবে। চাকুরিচ্যুতদের মধ্যে কর্মক্ষম শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে।
২। সরকারি অধিগ্রহণকৃত, হস্তান্তরিত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন পাট-সুতা ও বস্ত্র শিল্প শ্রমিকদের আইনসম্মত সমুদয় বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
৩। ব্যক্তি মালিকানাধীন পাট-সুতা ও বস্ত্র শিল্প শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ প্রকাশ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪। অতীতের ন্যায় শ্রমিকদের জন্য রেশনিং প্রথা চালু করতে হবে।
৫। দেশের বিদ্যমান অবকাঠামোগত অগ্রগতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অগ্রগতি এবং সে লক্ষ্যে শ্রমিক-কর্মচারিদের জীবনমানের উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
৬। রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষার আন্দোলনে ১৯৯৪ সালে ১৭ জন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবারকে ১ লক্ষ করে টাকা প্রদান করেছিলেন। ঐ সকল দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ