জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধি কৃষি, পরিবহন ও দৈনন্দিন জীবনে সংকট দুর্বিষহ হবে: ওয়ার্কার্স পার্টি

প্রকাশিত: ১২:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২২

জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধি কৃষি, পরিবহন ও দৈনন্দিন জীবনে সংকট দুর্বিষহ হবে: ওয়ার্কার্স পার্টি

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ০৬ অাগস্ট ২০২২ : আগের দিন জ্বালানি তেলের মূল্য সহনীয় মাত্রায় বাড়ানোর কথা বলে রাতের বেলায় পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন ও অক্টেনের মুল্য প্রায় ৪৫% ভাগ বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক এবং জনগণের প্রতি সংবেদনহীনতার চরম বহিঃপ্রকাশ বলে অভিমত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধির ঘোষণার প্রেক্ষিতে আজ এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো জানায় এমনিতেই মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি জনজীবনে ত্রাহী অবস্থা; তার উপর এই মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে কঠিন সংকট তৈরী করবে। জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধির অভিঘাত পড়বে কৃষি, পরিবহন ও দৈনিন্দন জীবনে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বে যখন জ্বালানি পণ্যের মূল্য কমছে তখন এই মূল্যবৃদ্ধি কার স্বার্থে?
বিবৃতিতে বলা হয়, বস্তুত সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর কাছ থেকে যে ঋণ চাইছে তাদের সেই শর্ত পূরণের জন্যই জ্বালানি খাতের ভুর্তকি প্রত্যাহারের কৌশলী ব্যবস্থা হিসাবে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে জনগণের উপর দায় চাপানো হলো। এ বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ‘অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরূপায় হয়েই দাম কিছুটা সমন্বয় করা এবং প্রতিবেশী দেশে তেলপাচারের আশঙ্কার’ যে কল্পিত গল্প সাজিয়েছেন, তা জনগণকে বিভ্রান্ত করার নামান্তর মাত্র।
বিবৃতিতে, দেশের মুদ্রা ঘাটতি সমন্বয় করতে গিয়ে, দাতাগোষ্ঠির শর্ত বাস্তবায়নে জনগণের উপর মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপানো বিবেচনা প্রসূত নয় এবং জ্বালানিখাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও অপচয় রোধ করে ঘাটতি পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে, সমন্বয়ের নামে জ্বালানি তেলের অচিন্তনীয় ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ