তিস্তা চুক্তি সই ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১২:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২

তিস্তা চুক্তি সই ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক | রংপুর, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ : তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন এবং তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করাসহ ছয় দফা দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২২) বেলা ১১টায় রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সংগঠনটির সভাপতি অধ্যক্ষ কমরেড নজরুল ইসলাম হক্কানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য তুহিন ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, গেরিলা লিডার শফিকুল ইসলাম কানু, বখতিয়ার হোসেন শিশির, মোহাম্মদ অালী, মাহমুদ অালম, মশিউর রহমান ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ, নজরুল ইসলাম মোল্লা, ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন, সাজু সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান, সফিকুল ইসলাম সপু, মাহবুব রহমান, তপন রায় ও মাখন লাল প্রমুখ।

সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান, জাসদ মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড অশোক সরকার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ডা: মফিজুর রহমান ও বাংলার চোখের তানভীর অাশরাফি।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, তিস্তা নদী রক্ষা করতে হবে। এই নদী বাঁচলে নদীপারের মানুষ বাঁচবে। খরা, বন্যা ও নদীভাঙনে তিস্তা পারের ঘরে ঘরে চলছে আহাজারি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি ক্রমাগত বেসামাল হয়ে উঠেছে। বাড়ছে খরার প্রকোপ। উজানের পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে অসময়ে বন্যা ও নদীভাঙনের ভয়াবহতা। ভারতের গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে শুকনা মৌসুমে পানি আটকে রাখা হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, তিস্তা নদীর গভীরতা সামান্য। নদীশাসন ও বন্যা রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুষ্ঠু পরিকল্পনাও নেই।

সমাবেশ থেকে ছয় দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো তিস্তা নদী সুরক্ষায় মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন ও অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করা, তিস্তার ভাঙন বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ, ভাঙনের শিকার ভূমিহীনদের পুনর্বাসন, তিস্তার তীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় ও কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা, তিস্তা নদীতে আবার নৌ যোগাযোগ চালু এবং তিস্তা পারের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ