খুদে গবেষকদের মূল্যায়নে দেশসেরা বিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত: ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২

খুদে গবেষকদের মূল্যায়নে দেশসেরা বিজ্ঞানীরা

মামুন অাহমেদ |

খুদে গবেষকদের মূল্যায়নে দেশসেরা বিজ্ঞানীরা।
শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আসলো দুটি পুরুস্কার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২) দিনব্যাপী সম্মেলনে ১২২টি গবেষণাপত্রের মৌখিক ও পোস্টার উপস্থাপন করেন দেশের খ্যাতনামা বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
তারা সবাই স্কুলে পড়াশোনা করে। কিন্তু চিন্তা করে চারপাশের প্রতিবেশ নিয়ে। বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ, কৃষি অর্থনীতি, সামাজিক সমস্যা, শিক্ষা, জীবন ও সংস্কৃতি- প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই গবেষণার শিরোনাম বাছাই করে এবং সে বিষয়ে গবেষণা করে, সমাধান প্রস্তাব করে। তারা এ যুগের খুদে গবেষক। স্কুল পর্যায়েই শুরু করেছে গবেষণা। তাদের চিন্তার জগৎকে বিকশিত করতে সহায়তা করছে স্বেচ্ছাসেবী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘চিন্তার চাষ’।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘৭ম চিন্তার চাষ খুদে গবেষক সম্মেলন ২০২২’ আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সারাদেশের বিভিন্ন স্কুলের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির নির্বাচিত তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। দলবদ্ধভাবে তারা ১২২টি গবেষণাপত্রের মৌখিক ও পোস্টার উপস্থাপন এবং ৫টি ধারণাপত্র উপস্থাপন করে। দেশের খ্যাতিমান গবেষক ও বিজ্ঞানীরা গবেষণাপত্র, ধারণাপত্র ও পোস্টারগুলো মূল্যায়ন করেন।

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার মীম, জান্নাতুল ফেরদৌস মাহিয়া ও সোহানা আক্তারের গবেষণায় উঠে আসে একটি মশার কয়েল ১০০টি সিগারেটের সমান ক্ষতিকর। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কয়েল তৈরিতে মাত্র দুটি ক্ষতিকর উপাদানের অনুমতি দিলেও বাংলাদেশে ছয়টি ক্ষতিকর উপাদানের অনুমতি দিয়েছে।

বিকেলে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে ছয় ক্যাটাগরিতে ১১ চ্যাম্পিয়ন, ১০টি রানার্সআপ ও ছয়টি বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন গ্রুপের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ইউজিসি অধ্যাপক ড. হাসিনা খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের শিশু-কিশোরদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। শিক্ষার্থীদের আরও অনেক বেশি বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষতার বিকল্প নেই।

বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় শিশুদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ও সৃজনশীলতা তৈরির লক্ষ্যে ‘চিন্তার চাষ’ এ ধরনের আয়োজন করে বলে জানান ‘চিন্তার চাষের’ নির্বাহী পরিচালক এস এম মেসবাহ।

এর আগে সকালের অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। চিন্তার চাষ-এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান এবং ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শ্রীমঙ্গল থেকে ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভুনবীর দশরথ উচ্চ বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেন।

#

মামুন অাহমেদ

সম্পাদক, বার্তা নিউজ শ্রীমঙ্গল

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ