সিলেট ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২২
বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ২৫ নভেম্বর ২০২২ : ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাটকলগুলোকে বন্ধ করে দিয়ে সরকার কেবল পাটকল শ্রমিক, পাটচাষীদের পেটেই লাথি মারেন নাই, দেশের সংবিধানের উপরও আঘাত করেছেন। একই কথা গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার জন্য তাদের ওপর নির্ভর করতে হলেও তাদের মজুরী কাজের পরিবেশ সম্পর্কে সরকারের হুশ নাই। অথচ সামনের মন্দাকালকে অতিক্রম করতে এই শ্রমিক-কৃষকদের ওপরই নির্ভর করতে হবে।’
আজ এদেশের কিংবদন্তী শ্রমিক নেতাদের স্মরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপি কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অদ্য শুক্রবার (২৫ নভেম্বর ২০২২) বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম (৩য় তলা) মিলনায়তনে শ্রমিক আন্দোলনের কিংবদন্তী ও পুরোধা নেতৃত্ব কমরেড আবুল বাশার, কমরেড শফিকুর রহমান মজুমদার, কমরেড নাসিম আলী, কমরেড এটিএম নিজামুদ্দিন, কমরেড হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া ও কমরেড শফিউদ্দিন আহমেদ স্মরণ: ‘‘বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অতীত ও বর্তমান” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আজকে দেশে অর্থনৈতিক সংকট, ডলার সংকট, রেমিট্যান্স সংকট— সব সংকট হচ্ছে। এ অবস্থায় কার ওপর ভরসা করতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার জন্য? এই ডলারটা আয় করে কে? আমার গার্মেন্টস শ্রমিকরা। আমার প্রবাসী শ্রমিকরা। সেই তাদের মজুরি দেবো না, তাদের কথা শুনবো না, তাদের টেড ইউনিয়ন করতে দেবো না, আর আমি সংকট দূর করবো, সেটা তো হয় না।
মেনন বলেন, ‘পাটকল বন্ধ করে দেওয়ার পর পাট চাষি ও শ্রমিকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেক শ্রমিক, চাষি আত্মহত্যা করেছে। এর মাধ্যমে সরকার কেবল পাট চাষি বা শ্রমিকদের পেটে লাথি মারে নাই, বরং এর মাধ্যমে সরকার সংবিধানকে বলাৎকার করেছে।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘আমি তরুণদের আহ্বান জানাই— সামনে খুব কঠিন দিন আসছে। সারাদিন মোবাইলে বসে এই সংকট নিরসন করা যাবে না৷ আজকে মাঠে শ্রমিকের জন্য, কৃষকের অধিকারের জন্য দাঁড়াতে হবে।’
সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরূল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন, শ্রমিকনেতা হিমাংশু সাহা, শ্রমিকনেতা দিদারুল আলম, শ্রমিকনেতা খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব নোমানুজ্জামান আল আজদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ’৫০ দশক ও ৬০ দশক শ্রমিক আন্দোলন রাজনীতিতে সহায়ক ছিল। তারপর ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠার পর তা সামনে আসলো। দুই শক্তি একত্রিত হয়ে একই আওয়াজ তুলতাম। কিন্তু এখন দুনিয়ায় মজদুর এক হও, সেই আওয়াজ আর ওঠে না। এখন আর সেভাবে শ্রমিক আন্দোলন সংগঠিত হয় না। যখন দুনিয়ায় মজদুর এক হও সেই আওয়াজ উঠেছে, তখন শ্রমজীবী মানুষের রাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে শ্রমিদের সংগঠন করাও উপেক্ষিত হয়ে গেছে। এই ট্রেড ইউনিয়নকে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
মূলপত্র উত্থাপন করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শরীফ শমশির।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D