সামরিক শাসন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রনেতা ফজলে হোসেন বাদশা

প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩

সামরিক শাসন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রনেতা ফজলে হোসেন বাদশা

কামরুল হাসান সুমন |

১৯৮২ সালে ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ ও কালো পতাকা প্রদর্শন করেন।সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম গড়ে তুলতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ঢাকা সহ সারাদেশে তিনি ছাত্রদের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সংগঠিত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৩ সালে ফেব্রুয়ারির ছাত্র আন্দোলনে তিনি ছাত্রনেতা হিসেবে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন।ঢাকায় সচিবালয় ঘেরাও আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারনে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সামরিক বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। তৎকালিন সরকারের উপর মহলের নির্দেশে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে গিয়ে ৯দিন ৯ রাত তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়।কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তিনি আবারো স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। মজিদ কমিশন শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষা ভবন ঘেরাও করে বাংলাদেশে সামরিক ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেকে আরো বেগমান করেন। ১৯৮৮ সালের প্রথম দিকে সামরিক সরকারের আশ্রয়ে রাজশাহীতে শুরু হয় স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবির চক্রের অপতৎপরতা তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালের ৩১ মে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ অভ্যান্তরে প্রকাশ্য দিবালোকে জামায়াত শিবির চক্রের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর মেধাবী ছাত্রনেতা শহীদ ডা: জামিল আকতার রতন। এর প্রতিবাদে তখন থেকে তিন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজশাহী থেকে দেশব্যাপী স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলেন।তৎকালীন সামরিক সরকার তাকে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেন তিনি তা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করেন। ১৯৯০ সালে সামরিক ও স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তিনি আপোসহীন ভূমিকা পালন করেন এজন্য তাকে বহুবার কারাবরন ও অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।