বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৭, ২০২৩

বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ০৭ মে ২০২৩ : বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-(বিলস)-এর চেয়ারম্যান, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি)-এর ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ।
এ উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, স্মরণ সভা এবং স্মরণিকা প্রকাশ। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আজ ৭ মে সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিকেলে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল তবারক বিতরণ, স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এই উপলক্ষে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অ্ঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন, ভাওয়াল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ভাওয়াল আইডিয়াল একাডেমী, হায়দরাবাদ জনকল্যাণ সমিতি ও ভাওয়াল শিশু কিশোর ফোরামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান মরহুমের কবরে পৃথকভাবে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার (গাজীপুর- ২ গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-(বিলস)-এর চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন এবং দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদ, টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগ ও শ্রমিক লীগসহ সকলকে আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদৎ বার্ষিকীর কর্মসুচিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-(বিলস)-এর চেয়ারম্যান, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)-এর অন্যতম নেতা, শিক্ষক, বিশিষ্ট সমাজসেবী, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি)-এর ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, সাপ্তাহিক নতুন কথার বিশেষ প্রতিনিধি, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ অামিরুজ্জামান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ