৯ পেরিয়ে দশ বছরে পা রাখলো বাংলা ট্রিবিউন

প্রকাশিত: ১২:১০ পূর্বাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩

৯ পেরিয়ে দশ বছরে পা রাখলো বাংলা ট্রিবিউন

বিশেষ প্রতিবেদক | ঢাকা, ১৩ মে ২০২৩ : নয় বছর পেরিয়ে দশ বছরে পা রাখলো দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন।
২০১৪ সালের ১৩ মে যাত্রা শুরু করা এ নিউজ পোর্টালটি ইতোমধ্যে দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। ‘সঠিক সময়ে সঠিক সংবাদটি পেয়ে সমৃদ্ধ থাকতে ইচ্ছুক’—পাঠকদের এমন আস্থাস্থলে পরিণত হয়েছে বাংলা ট্রিবিউন।

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অঙ্গীকারে বাংলা ট্রিবিউনের সবচেয়ে বড় শক্তি তার পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই বিশেষ দিনে বাংলা ট্রিবিউন তার পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে।

ডিজিটাল গণমাধ্যমের উৎকর্ষতার এই সময়ে বাংলা ট্রিবিউন জন্মলগ্ন থেকেই প্রচলিত অনলাইন পোর্টালের বাইরে নতুন কিছু করতে চেয়েছে। তার দৃষ্টান্তও দেখিয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের বিশিষ্ট ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের সাক্ষাৎকারভিত্তিক বই ‘জয় বাংলা’ প্রকাশ করেছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলা ট্রিবিউনের এ ধরনের আরও প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। নিত্যকার অনলাইন ভার্সনের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দিবস ও ইভেন্টে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে আসছে বাংলা ট্রিবিউন।

এ সময়ের সাংবাদিকতায় মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার দাবি করে। পাঠক সংবাদ পড়ার পাশাপাশি একইসঙ্গে দেখতে চান ঘটনার স্থির ছবি ও ভিডিও। এমনকি পাঠক নিজেও তার মতামত দিয়ে এই সংবাদের অংশ হয়ে উঠতে চান। তার সব চাহিদা পূরণ করতেই বাংলা ট্রিবিউন প্রয়োজনীয় অডিও-ভিডিও উপস্থাপনের পাশাপাশি নিয়মিত একাধিক টকশো, সংবাদের বিশ্লেষণধর্মী লেখা ও অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে থাকে।

‘সঠিক সময়ে সঠিক খবর’ স্লোগানে উজ্জীবিত বাংলা ট্রিবিউন দ্রুততার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি সঠিক তথ্য পরিবেশনের চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলা ট্রিবিউনের সবচেয়ে বড় শক্তি তার পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীরা।

নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বাণী দিয়েছেন। পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ এবং সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।

প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ বলেন, ‘দেশের গণমাধ্যম জগতে, এমনকি দেশ-বিদেশে বাংলাভাষী পাঠকের কাছে বাংলা ট্রিবিউন এখন একটি সুপরিচিত নাম এবং আস্থার প্রতীক। এটা আমাদের বড় অর্জন। সততা, নিষ্ঠা, সাহস ও সত্য প্রকাশের অঙ্গীকার নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন একটি শক্তিশালী ভিতের ওপরে দাঁড়িয়েছে।’

বাংলা ট্রিবিউন সুস্থ ও সুষ্ঠু সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের অসুস্থ প্রতিযোগিতাকে পাশ কাটিয়ে শুরু থেকেই সঠিক তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে সত্য সংবাদটি প্রকাশ করে আসছে বাংলা ট্রিবিউন। এটা পাঠকের সঙ্গে নিউজ পোর্টালটির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে। বাংলা ট্রিবিউনের এই প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

আনিস আহমেদ আরও বলেন, ‘বাংলা ট্রিবিউন পরিবার সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যতে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা পালন করে যাবে। নতুন বছরে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।’

সম্পাদক জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘বাংলা ট্রিবিউন গত ৯ বছর ধরে পাঠকদের কথা বিবেচনা করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর্থিক সংকট কিংবা মহামারি কোনও কিছুই এ নিউজ পোর্টালকে দমাতে পারেনি। সব কর্মীর শ্রম, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নেই আজ পাঠকের প্রিয় বাংলা ট্রিবিউন।’

তিনি বলেন, ‘অনেক চাপ ও বাধা উপেক্ষা করে গণমাধ্যমকে কাজ করতে হয়। আমাদের দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাংবাদিকতাকে কঠিন করে তুলেছে। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সাংবাদিকদের নির্বিঘ্নে তার দায়িত্ব পালনের জন্য এই আইনটি নিয়ে আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে অবাধ তথ্যপ্রবাহে অনেক বাধা আসবে।’

জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘ভুয়া কনটেন্ট দিয়ে বাণিজ্যের অশুভ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত নামসর্বস্ব অনলাইন পোর্টালগুলোর সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করেছে বাংলা ট্রিবিউন। বাংলা ট্রিবিউনই পাঠকদের সামনে সত্য তথ্যটি তুলে ধরেছে, দেশের একজন মানুষও যেন বিভ্রান্ত না হয়, সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’ বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বাংলা ট্রিবিউন তার নিরপেক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠা বজায় রেখে কাজ করে যাবে বলেও তিনি তার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথে নবম বছর পেরিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের দশ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, সাপ্তাহিক নতুন কথা’র বিশেষ প্রতিনিধি, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “জনমতের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল চিন্তার গণমুখী সাংবাদিকতার অনন্য নজির স্থাপন করুক বাংলা ট্রিবিউন। এবং এর উত্তরোত্তর সফলতা ও অগ্রগতি কামনা করছি।“

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ