টাকা উপার্জন করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন ও খরচের ধাপগুলি কেমন?

প্রকাশিত: ১:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৩

টাকা উপার্জন করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন ও খরচের ধাপগুলি কেমন?

অালী জামান শিবলী |

আপনি আপনার উপার্জন করা টাকা দিয়ে কি করবেন..?? সেটার দিকে ফোকাস দিন। অনান্য লোকজন তাদের টাকা দিয়ে কি করে বা করবে সেদিকে নজর দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

লেখকের মতে, আপনি টাকা উপার্জন করার জন্য কি কি পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছেন, আর টাকা উপার্জন করার পরে আপনার খরচের ধাপগুলি কেমন হচ্ছে… এটার উপরি আপনি ধনী বা গরীব ব্যাক্তিত্বের অধিকারী হয়ে যাচ্ছেন, আপনি কতোটা সঞ্চয়, ইনভেস্ট আর খরচ করছেন।

মানুষ টাকা-পয়সার ব্যাপারে, টাকার সূত্রের উপর নির্ভর না করে, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করেই বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। আর প্রায় প্রত্যেকটি মানুষেরই টাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিজের সিদ্ধান্তের আলোকে হয়ে থাকে। অনেক মানুষই টাকার ব্যাপারে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তারমানে এই না যে, তারা টাকাকে বোঝেননা।

আমরা ভিন্ন একটা Generation এ জন্মগ্রহণ করেছি, আলাদা আলাদা পরিবেশে মানুষ হয়েছি, ভিন্ন চিন্তাযুক্ত বাবা-মার কাছে মানুষ হয়েছি, যাদের আর্থিক অবস্থাও এক নয়, বিভিন্ন দেশের আর্থিক অবস্থাও আলাদা আর সেগুলোর সাথে খুব বড় একটা ভূমিকা পালন করে সেটা হলো তাদের সৌভাগ্য। যারা গরীব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের থেকে ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা ব্যাক্তির ভাগ্য, নিতান্তই অনেক বেশি ভালো… টাকা ইনভেস্টমেন্ট করার ক্ষেত্রে।

লেখকের মতে ভাগ্য এবং ঝুঁকি এরা দুই ভাই। এ-ই দুটি জিনিস এমন একটা সত্যি যা আমাদের বিশ্বাস করতেই হবে। আর এই দুটোই নির্ভর করে একজন ব্যাক্তির কঠোর পরিশ্রম করার পরেও।

১৯৬৮ সালে ৩০৩ মিলিয়ন স্টুডেন্ট ছিল, ১৪ মিলিয়ন ছিল আমেরিকার কিন্তু ৩০০ স্টুডেন্ট শুধুমাত্র লেকসাইড স্কুলে ছিল, যেখানে স্টুডেন্টরা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারতো, আর সেই ৩০০ জন ভাগ্যবান ব্যক্তির মধ্যে বিল গেটসও ছিল। ভাগ্য এবং ঝুঁকি সবখানেই থাকে, কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে আপনার পদক্ষেপ নিতে হয়।

১৯২৯ সালে অর্থনীতিতে বিশেষ মন্দা প্রভাব ছিল লক্ষ্য করার মতো, সেই সময়ে কেই ঝুঁকি নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জে কোটি টাকা আয় করেছেন আবার কেউ সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছেন। টাকা উপার্জন করা আর টাকা ধরে রাখা সম্পূর্ণ আলাদা পদক্ষেপ।

টাকা বাড়াতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবেই। আপনার কাছে যা টাকা আছে সেটা বিধাতা চাইলে যেকোনো সময় কেড়ে নিতে পারেন, এই ভয় বা সংযম আপনাকে অপব্যবহার থেকে নিজেকে বিরত রাখবে।

এটা আপনাকে মানতেই হবে যে, আপনার কঠোর পরিশ্রমই আপনাকে ধনকুবের বানিয়ে দিবে তা নয়, ধনসম্পদ অবশ্যই মহান আল্লাহ পাকের নিতান্তই খাশ রহমতের ফলাফল।

আমরা আমাদের চোখের সামনে যা দেখি, সেই তত্ত্বটুকু দিয়েই অন্যের সম্পদ হিসাব করি। আমরা অন্যের ব্যাংক স্টেটমেন্টও দেখতে পাইনা। শুধুমাত্র বড় গাড়ি বা বাড়ি দেখেই অন্যের সম্পর্কে একটা বড়সড় মন্তব্য করে থাকি। কিন্তু আসল সম্পত্তির অনুমান এভাবে করা যায় না।

এমনই কিছু লোকজন আছেন, যারা অন্যকে দেখানোর জন্য ইএমআই এর মাধ্যমে কোটি টাকার গাড়ি কিনে থাকেন, তারমানে কি সেই ব্যক্তি আসলেই ধনী ব্যক্তি..??

কিছু কিছু লোকজন আছেন, যাদের আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো, তারপরও তাদের আরও চাই…এই মানসিকতা বহু কোটিপতি মানুষকে দেউলিয়া করেছে।

লেখকের মতে – মানুষের উচ্চাশা থাকা ভালো কিন্তু লোভ যতো অসন্তোষের কারণ।

আমরা অনেক সময় সামাজিকভাবে অন্যের সাথে তুলনা করতে গিয়ে, নিজেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে থাকি, আর সেই লোভের কারণে, অনেক মানুষ অবৈধ পথ বেচে নেয়, ফলস্বরূপ তাদের অনেক অর্থ, মানসম্মান, পতিপত্তি থাকা সত্ত্বেও লোহার দেয়ালে বন্দী থাকেন….
ক্ষমা মার্জনীয় 🙏🙏
ধন্যবাদ 😊😊

#Book_Review

#The_Psychology_of_Money
#by_Morgan_Housel

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ