সিলেট ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে জন্ম নেওয়া বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী প্রীতি সমাবেশের সূচনা হয়েছে বর্ণাঢ্য-বর্ণিল শোভাযাত্রার ভেতর দিয়ে।
আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র গড়ে ওঠার পর্যায় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সদস্য, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীসহ সমাজের বিশিষ্টজনরা এতে অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি বাংলামোটরের ময়মনসিংহ রোডের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রার সম্মুখসারিতে ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক ট্রাস্টি ও সাবেক সচিব খোন্দকার মো: আসাদুজ্জামান, ট্রাস্টি ও সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম ভুইয়া, ট্রাস্টি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো: আবদুস সামাদ, ট্রাস্টি ইফতেখারুল ইসলাম, ট্রাস্টি পারভীন মাহমুদ, ট্রাস্টি ডা. আবদুন নূর তুষার, ট্রাস্টি ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, চ্যানেল আই পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও দৈনিক প্রথম আলোর উপ-সম্পাদক আনিসুল হক, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট ছড়াকার আমিরুল ইসলাম, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, আইএফআইসি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সাবেক ট্রাস্টি শাহ আলম সারওয়ারসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহ অতিথিরা।
জাতীয় ও গ্রামীণ অনুষঙ্গসহ বিভিন্ন থিমের ওপর ভিত্তি করে মোট ২৩টি অংশে বিভক্ত ছিল শোভাযাত্রাটি।
শোভাযাত্রার বিভিন্ন অংশে ছিল বাংলার ঢাক, চাকমা নৃত্য, জাতীয় ফুল শাপলা, জাতীয় পাখি দোয়েল, ভরত নাট্যম, বই শুধু বই, বাদ্যযন্ত্রীর দল, জনপ্রিয় চরিত্র, মণিপুরী নৃ্ত্য, মুক্তিযুদ্ধ, মাছ ধরার দল, বিয়ের দল, সাপুড়ে নৃত্য, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মারমা নৃত্য, লাঠি খেলা, বাংলার ঢাক, সহযোগী প্রতিষ্ঠান, পতাকাবাহী দল ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি।
শোভাযাত্রা শেষে কেন্দ্রের সামনের অংশে বসে অতিথিরা ঢোল-বাদ্য সহকারে মনোমুগ্ধকর লাঠিখেলা, নাচসহ বিভিন্ন পরিবেশনা উপভোগ করেন। পরে শুরু হয় আপ্যায়ন পর্ব।
৪৫ বছর পূর্তিতে ময়মনসিংহ রোড সহ পুরো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবন সাজানো হয়েছে মনোমুগ্ধকর সাজে। সড়ক ও দেয়ালে আঁকা হয়েছে আলপনা। আলোকচিত্রে এই ৪৫ বছরের যাত্রা তুলে ধরা হয়েছে একটি প্রদর্শনীতে।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের হাত ধরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর। সেদিন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সঙ্গে একটি পাঠচক্রে অংশ নিয়েছিলেন মাত্র ১৫ জন মানুষ। তারা প্রতি সপ্তাহে একটি করে বই পড়তেন, বই নিয়ে আলোচনা করতেন।
পরে ধীরে ধীরে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের এ স্বপ্নযাত্রায় সঙ্গী হন আরও অনেক আশাবাদী মানুষ। প্রসারিত হতে থাকে কেন্দ্র, বাড়তে থাকে কাজের পরিধি। ইন্দিরা রোড থেকে ১৭ ময়মনসিংহ রোডে চলে আসে কেন্দ্র। এখানেই এক টুকরা সবুজ মাঠের পেছনে জড়ো হতে থাকেন দেশের বহু চিন্তাশীল, উদ্যমী মানুষ।
৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতি সম্মেলনের নিমন্ত্রণপত্রে কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, ‘এদিন সকাল দশটা থেকে রাত দশটা এই সময়-পরিসরের মধ্যে আপনি যতবার খুশি এবং প্রতিবার যতক্ষণ খুশি এই উৎসবে উপস্থিত থেকে আপনার অন্তরঙ্গ সান্নিধ্য দিয়ে দিনটিকে আনন্দমধুর করে তুলবেন, এই আশা করি।’
আজ সকাল ৯টা থেকেই আগত অতিথিদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবন। তাদের আপ্যায়িত করা হয় ভাপা পিঠা, জিলাপি, নাড়ু, মোয়া, গজাসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে। কেন্দ্রের সদস্য ও কর্মীদের পরে থাকা পোশাকেও চোখে পড়ে ঐতিহ্যের ছাপ। কেন্দ্রের প্রতি তলা সাজানো হয়েছে শোলার তৈরি ফুল-পাখি-লতা-পাতার নানা মোটিফ দিয়ে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইন্দিরা রোডের একটি ছোট্ট বাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আজ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
প্রীতি সম্মেলনে অতিথি হয়ে আসা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি অনবদ্য, অনির্বচনীয় জাতীয় প্রতিষ্ঠান। অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী একটি প্রতিষ্ঠান। আজ প্রতিষ্ঠানটি উদযাপনের যে প্রতিপাদ্য বেছে নিয়েছে তার ভেতর দিয়ে তারা যেমন আবহমান বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে এনেছে, তেমনি বাংলাদেশের যুব সমাজের সঙ্গে আমাদের উত্তরাধিকারের যে সম্পর্ক সেটাও তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাঙালি সমাজ গড়ে তোলার জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আমাদের আজ একটা ভরসার জায়গা দেখিয়েছে।’
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ মানুষ তৈরির অগ্রসেনানী। স্বপ্ন এবং ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা তাঁর আছে। এজন্য তাঁকে অভিনন্দন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আজ দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীকে জাগ্রত করছে। এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের তীর্থকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। এজন্য শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যারা জড়িত ছিলেন সকলকে অভিনন্দন জানান তিনি।
বিশিষ্ট ছড়াকার আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছি। ৪৫ বছর পূর্তির পুরো অনুষ্ঠানটি আমার জন্য এক আনন্দ আয়োজন। একদিকে কেন্দ্রের জন্মদিনের আনন্দ অন্য দিকে কেন্দ্র এখন বিশাল কলেবরে তার যাত্রা শুরু করেছে। বিশাল ভবনে কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এখান থেকে আরো বেশি মানুষ উপকৃত হবে।
বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র নতুন প্রজন্মেও ছেলেমেয়েদের মেধা ও মননের একটি উৎকৃষ্ট স্থান। ৪৫ বছর ধরে অত্যন্ত সফলতার সাথে কেন্দ্র তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। দেশের অনেক চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্যারের ছাত্র ছিলেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সফলতার সঙ্গে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মানসিক উৎকর্ষ সাধনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ৪৫ বছরে বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্রোতের বিপরীতে গিয়েও যে কিছু একটা করা যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। রাস্তায় রাস্তায় বইয়ের লাইব্রেরি ছুটে বেড়ানোর বিষয়টি একসময় অকল্পনীয় ছিল। আমার ধারণা, আরো ৪০ বছর পর সমগ্র বাংলাদেশেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলো ছড়িয়ে পড়বে।
বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংশ্লিষ্টতা অনেক দিনের। বিগত ৪৫ বছরের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে তিনি বলেন, স্যারের (আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ) সাথে শুরু থেকেই আছি। ইন্দিরা রোড থেকে শুরু করে বর্তমান নতুন ভবন সবখানেই স্যারকে সঙ্গ দিয়েছি আমরা। একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও সাহস নিয়ে স্যার দেখিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকেও বড় কিছু করা যায়।
‘আলোকিত মানুষ চাই’-এই শ্লোগান নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৪৫ বছর পূর্তি উৎসব সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাপ্তাহিক নতুন কথা’র বিশেষ প্রতিনিধি, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্নদ্রষ্টা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের হাত ধরেই সত্তর দশকের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। হাটি হাটি পা পা করে ৪৫ বছর পূর্ণ হয়েছে তার। স্বাধীন, প্রজ্ঞাসম্পন্ন, চিন্তাশীল ও সৃজনশীল মূল্যবোধসম্পন্ন, শক্তিশালী মানুষ তৈরির লক্ষ্যেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ৪৫ বছর থেকে কাজ করছে। সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজবিদ্যাসহ বিশ্বজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ বইগুলোর পঠন-পাঠন এই কাজের অন্তর্ভুক্ত।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কোনো গৎ-বাঁধা, ছক-কাটা, প্রাণহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি সপ্রাণ সজীব পরিবেশ- জ্ঞান ও জীবন সংগ্রামের ভেতর দিয়ে পূর্ণতর মনুষ্যত্বে ও উন্নততর আনন্দে জেগে ওঠার এক অবারিত পৃথিবী। এক কথায়, যাঁরা সংস্কৃতিবান, কার্যকর, ঋদ্ধ মানুষ- যাঁরা অনুসন্ধিৎসু, সৌন্দর্যপ্রবণ, সত্যান্বেষী; যাঁরা জ্ঞানার্থ, সক্রিয়, সৃজনশীল ও মানবকল্যাণে সংশপ্তক ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র; তাঁদের পদপাতে, মানসবাণিজ্যে, বন্ধুতায়, উষ্ণতায় সচকিত একটি অঙ্গন।
মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং বিভিন্নবিষয়ক জ্ঞান ও রুচিশীল সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার বিকাশ ঘটানো এর উদ্দেশ্য।”
১৯৮৪ সাল থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য দেশভিত্তিক মানসিক উৎকর্ষ কার্যক্রম শুরু করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। এর আওতায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বছরে ১৬ থেকে ২৫টি বাছাই বই পড়ানো হয়। এই কার্যক্রমের সাফল্য বাংলাদেশ সরকারকেও উৎসাহিত করেছে। ২০১০ সাল থেকে ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র আওতায় কেন্দ্রের সঙ্গে মিলে ১২ হাজারের বেশি স্কুলে ৮৩ লাখ ছেলেমেয়ের বই পড়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার। শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয়, ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ হাজার প্রশিক্ষণার্থী প্রাথমিক শিক্ষককেও ১২টি করে বই পড়াচ্ছে কেন্দ্র।
এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি–ব্যবস্থার প্রচলন করে বাংলাদেশের পাশাপাশি সারা পৃথিবীতেই বিস্ময় জাগিয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি (মানে বইভর্তি লরি) এখন ৩০০ উপজেলার তিন হাজার জায়গায় সপ্তাহে অন্তত একবার এক-দুই ঘণ্টা বই দেওয়া-নেওয়া করে।
বই প্রকাশের ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা আছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের। বাংলা ও বিশ্বসাহিত্যের সেরা বইগুলো প্রকাশ করছে তারা। সম্প্রতি ‘বাঙালির চিন্তা কর্মসূচি’র আওতায় ১৬টি বিষয়ে ২০০ খণ্ডে ৭৪ হাজার পৃষ্ঠায় জাতির শ্রেষ্ঠ মনীষীদের মৌলিক চিন্তার এক সংকলন প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।
পাশাপাশি সংস্কৃতির অন্য উপাদানগুলোর বিকাশেও কাজ করে চলেছে কেন্দ্র। বিশ্বসাহিত্য ভবনে নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ পায় বহু সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন। কেন্দ্র নিজেও নানাবিধ বিষয়ে বক্তৃতা, আলোচনা বা সংগীতের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D