জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন

প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন

Manual4 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা।

তারা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকবিলার বিষয়টি বৈশ্বিক। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। সরকার ২০২২ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকাও জোরদার করা প্রয়োজন। গণমাধ্যমের সোচ্চার ভূমিকা সংশ্লিষ্ট সবাইকেই সচেতন করতে পারে।

Manual1 Ad Code

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা–গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ. খান, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক এ, কে, এম আজিজুল হক, এটিএন বাংলার সম্পাদক সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সম্রাট, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম এবং ড. মো. মারুফ নাওয়াজ বক্তব্য রাখেন।

Manual8 Ad Code

সেমিনার সঞ্চালনা করেন ইনস্টিটিউটের সহকারি পরিচালক তানজীম তামান্না।

ইনস্টিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।

Manual3 Ad Code

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে ভাবনার এবং দিকনির্দেশনার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে এ পরিকল্পনায়। আর সেজন্য মুজিববর্ষে এ পরিকল্পনা প্রণয়নকালে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’।

বৈশ্বিক সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানামুখি পরিবর্তন ঘটছে। এককথায় পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় উষ্ণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এক সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে সব মানুষ। এ সংকট মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যেসব প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেস্ট নয়। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

সেমিনারের সভাপতি ইনস্টিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন বলেন, সরকার জলবায়ু পবির্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা বাংলাদেশের জন্য বেঁচে থাকার লড়াই। তিনি আরও বলেন, অসংখ্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার তার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী এক রোল মডেল এ পরিণত হয়েছে।

সেমিনারের মূখ্য আলোচক জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ. খান বলেন, বদ্বীপ পরিকল্পনা, এসডিজি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনায় জলবায়ু ইস্যুটি অগ্রাধিকারে রাখা গেলেই মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। স্বাগত বক্তব্যে ইনস্টিটিউটের পরিচালক এ কে এম আজিজুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির বিপদাপন্নতা অবস্থা থেকে বেরিয়ে সমৃদ্ধির দিকে যেতে এ পথনির্দেশিকা।

Manual8 Ad Code

সেমিনারে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমকর্মীসহ জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিউটের বিভিন্ন পার্যায়ের প্রায় ৪৫ জন অংশগ্রহণ করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code