শহীদ নূর হোসেনের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২৪

শহীদ নূর হোসেনের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

রাজনৈতিক প্রতিবেদক | ঢাকা, ১০ নভেম্বর ২০২৪ : ছাত্র গণআন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর কমরেড রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ৫ দলীয় বাম জোট, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৮ দল ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দলীয় জোট তথা তিন জোটের নেতৃত্বে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন নূর হোসেন।

মৃত্যুর পর নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকার নামকরণ করা হয় শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার এবং ১০ নভেম্বরকে শহীদ নূর হোসেন দিবস ঘোষণা করা হয়।

নূর হোসেন ১৯৬১ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। জীবিকার সন্ধানে তার পরিবার ঢাকায় এসেছিল। নূর হোসেনের পরিবার থাকত রাজধানীর পুরনো ঢাকার বনগ্রামে।

নূর হোসেনের বাবা মজিবুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন বেবিট্যাক্সি চালক। মা মরিয়ম বেগম গৃহিণী।
নূর হোসেন নিজেও ছিলেন একজন পরিবহন শ্রমিক।
গায়ের শার্ট কোমড়ে বাঁধা, পরনে জিন্সপ্যান্ট, পায়ে কেডস, খালি গায়ে বুকে পিঠে লেখা ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’।

নূর হোসেনের পুরো শরীরটাই যেন প্রতিবাদী পোস্টার। নূর হোসেনের এ প্রতিবাদ সহ্য করতে পারেনি স্বৈরাচার সরকার। নির্মম বুলেট ছুটে আসে প্রতিবাদী যুবক নূর হোসেনের দিকে।

গুলিবিদ্ধ নূর হোসেনকে যখন একটি রিকশায় করে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক যুবক। গুলিবিদ্ধ নূর হোসেনকে রিকশা থেকে নামিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেয়া হয়। নূর হোসেন যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন তখনও একজন পুলিশ সদস্য পায়ের বুট তার বুকের উপর চেপে ধরে। স্বৈরাচারী পুলিশ এমন নিষ্ঠুরভাবে সেদিন নূর হোসেনকে হত্যা করে।

নূর হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র গণআন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং পরবর্তীতে তিন জোটের নেতৃত্বে ‘৯০-এর মহান গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।

নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, সিপিবি, জেএসডি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, শহীদ নূর হোসেন সংসদ, ছাত্রমৈত্রী, যুবমৈত্রী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, মোটরচালক লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন গুলিস্তানে নূর হোসেন চত্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মিলাদ-দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।

নূর হোসেনের বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লেখা স্লোগান আজও সবাইকে স্বৈরশাসনসহ সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শক্তি ও অনুপ্রেরণা যোগায়।

১৯৮৭ সালের এদিনে কমরেড রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ৫ দলীয় বাম জোট, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৮ দল ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দলীয় জোট তথা তিন জোটের নেতৃত্বে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকার বিরোধী ছাত্র গণ-আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হওয়া নূর হোসেনের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ‘৮৩ থেকে গড়ে ওঠা ছাত্র গণআন্দোলন ও ‘৯০-এর মহান গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠক এবং বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ