আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: সিপিবি’র ঢাকা সমাবেশে প্রিন্স

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২৫

আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: সিপিবি’র ঢাকা সমাবেশে প্রিন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ : সংস্কারের কথা শব্দ চয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজনৈতিক দল ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি ২০২৪) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিপিবি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় বিগত আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে নেতারা বলেন, বাম দলগুলোকে এক হয়ে দেশকে রক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম কমানো, জান-মালের নিরাপত্তা, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণাসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয় সমাবেশে।

সিপিবির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “জনজীবনের সংকট নিরসনে এবং জান-মালের নিরাপত্তায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করুন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। সংস্কারের কথা শব্দ চয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজনৈতিক দল ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।”

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “বাজার ব্যবস্থায় এখনও হাত দেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। পতিত স্বৈরাচারী অপশক্তি থেকে আমাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। ভারত বাংলাদেশের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। তাই তারা তাদের লোক ক্ষমতায় বসাতে চায়। বাম দলগুলোকে এক হয়ে দেশকে রক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

কমরেড প্রিন্স বলেন, “অরাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে যেন না পারে সেজন্য দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানাই।”

তিনি আরও জানান, আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় এবং ঐক্য গড়ে তোলার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সিপিবির অন্য দাবিগুলো হলো – উৎপাদন খরচ ও নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশন ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন, জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দখলদারি চাঁদাবাজি বন্ধ, মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের দাবি পূরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, লুটপাট-সাম্প্রদায়িকতা-আধিপত্যবাদ-সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

সমাবেশ থেকে আগামী ২০ থেকে ২৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী “গণতন্ত্রের অভিযাত্রা” কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল শাহবাগ হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টনে এসে শেষ হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ