সৈয়দ আমিরুজ্জামান |
আজ ৭ জানুয়ারি টেংরাটিলা দিবস। ব্লো আউট বা অগ্নিকাণ্ডের দুই দশকেও ক্ষতিপূরণ মিলেনি উপরন্তু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে এলাকাবাসী।
সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডে ব্লো আউটের দুই দশকেও স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি আশপাশের এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশ। ওই এলাকাগুলোর মাটি উর্বরতা হারিয়ে ফেলায় সেখানে জন্মাচ্ছেনা কোনও উদ্ভিদ, পুকুরগুলোতে নেই মাছ। অনিয়ন্ত্রিতভাবে গ্যাস উদগীরণের ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকার মানুষ। এছাড়াও অনিরাপদ দেশীয় প্রযুক্তিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রান্নাবান্নার কাজে গ্যাস ব্যবহার করছে শতাধিক পরিবার।
২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন কানাডিয়ান বহুজাতিক কোম্পানি নাইকো সুনামগঞ্জের ছাতক গ্যাসফিল্ডের টেংরাটিলায় রিলিফ ওয়েল করতে গিয়ে ব্লো আউটের ঘটনায় দুই দফা আগুন লাগে।
ছাতক গ্যাসক্ষেত্র, টেংরাটিলা ব্লো-আউট:
ছাতক গ্যাসক্ষেত্র ১৯৫৯ সালে আবিস্কৃত হয়। এই কূপটি ছাতক-১ হিসেবে পরিচিত। এই গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের পর কূপে অত্যাধিক পানি আসার কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এই গ্যাসক্ষেত্রটিতে মোট মজুদ প্রায় ৩৩২ বিলিয়ন ঘনফুট, যার অধিকাংশই উৎপাদন করা হয়নি। এই ক্ষেত্রটি থেকে গ্যাস উৎপাদন পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে বাপেক্সকে পাশ কাটিয়ে তৎকালীন সরকার কানাডিয়ান বহুজাতিক নাইকো রিসোর্স কোম্পানিকে ইজারা দেয়। এই কোম্পানি ছাতক- ১ এর কাছেই ছাতক-২ কূপটি খনন করা শুরু করে এ বছরের প্রথম দিন থেকে।
ছাতক-২ (টেংরাটিলা) কূপটিতে ব্লো-আউট অবশ্যম্ভাবী ছিলনা। এর যথার্থ কারণ সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি খুঁজে বের করেছে। কূপ-নকশা এবং খননকর্মে ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। উপরোক্ত ত্রুটিটি ছিল ১৯৯৭ সালে মৌলভীবাজারের মাগুরছড়া কূপে সংঘটিত দুর্ঘটনার অনুরূপ। মাগুরছড়ায় দুর্ঘটনার পর তার কারণ তদন্ত করে দেখা যায় যে, কূপ খননকারী অক্সিডেন্টাল কোম্পানীর কূপ-নকশা এবং খনন পদ্ধতিতে ত্রুটি এবং এর সঙ্গে কোম্পানীর অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করা হয়। একইভাবে টেংরাটিলা কূপেও কূপ-নকশা ও খনন কাজের একই ধরনের ত্রুটি হয়েছে। কূপটিতে যথাযথভাবে কেসিং না করার ফলে গ্যাস নরম বালি স্তরে চারদিকে ঢুকে পড়ে ও তা কূপের পরিপার্শ্বে ও বহু স্থান দিয়ে বের হতে থাকে। আর গ্যাসস্তর থেকে পুলিং আউট করার ফলে গ্যাস উপরে উঠে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূ পৃষ্ঠে এসে দুর্ঘটনাটি ঘটায়।
মাত্র ৮ বছর আগে মাগুরছড়া কূপের দুর্ঘটনার কারণ যেখানে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেটি ছাতক-২ খননের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়নি। একটি নতুন কূপ খনন করার পূর্বে তার আশপাশে পূর্বেকার খননকৃত কূপসমূহের সমূহ তথ্য ও খনন ইতিহাস বিবেচনায় আনা একটি প্রচলিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এই কূপের ভূগর্ভে কি ধরনের শিলা স্তর, কি ধরনের গ্যাস স্তর পাওয়া যায় এবং তাদের ব্যবহার কি রকম হবে- এ তথ্য সমূহ জানা থাকা সত্ত্বেও এ ব্লো-আউট গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।
ছাতক(টেংরাটিলা) কূপে দুর্ঘটনায় তিন ধরনের ক্ষতি হয়েছে। প্রথমত, ভূ গর্ভে মূল্যবান গ্যাস মজুদের একটি বড় অংশ পুড়ে এবং বাতাসে উড়ে গিয়ে বিনষ্ট হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ঐ এলাকায় কৃষি ও প্রতিবেশের বড় রকমের ক্ষতি হয়েছে আর তৃতীয়ত, জনগণের সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
টেংরাটিলার যে গ্যাসস্তরটিতে এই ব্লো-আউট ঘটে তা একটি বড় আকারের গ্যাসস্তর। নাইকো কোম্পানী ও বাপেক্স যৌথভাবে ছাতক গ্যাসক্ষেত্রের মজুদ নতুনভাবে নির্ধারণ করে, মোট মজুদ প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ঘনফুট, এ পরিমাণ গ্যাসের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২৩,৩৬০ কোটি টাকা। তার মধ্যে কেবল এ নাইকো ও বাপেক্স যৌথভাবে আবার এক বছর পূর্বেই ছাতক গ্যাসক্ষেত্রের মজুদ পুনর্মূল্যায়ন ও মজুদ পুনর্নির্ধারণ করে এবং তাতে বলা হয় যে, দুর্ঘটনাকবলিত এই গ্যাসস্তরে ১১৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় ৬,৭১৬ কোটি টাকা। ছাতক গ্যাসক্ষেত্রের অন্য দুটি গ্যাসস্তর আরো গভীরে অবস্থিত। গ্যাস বিনষ্ট হওয়ার আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও পরিবেশের ক্ষতি ও মানুষের সম্পত্তির যে ক্ষতি হয়েছে তার আর্থিক মূল্য যথাযথভাবে নির্ধারণ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি ছাতক (টেংরাটিলা) দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ বাবদ কানাডিয়ান নাইকো রিসোর্স কোম্পানির উপর মাত্র ১০ কোটি টাকা জরিমানা নির্ধারণ করেছে। দেশপ্রেমিক ভূতাত্ত্বিকদের মতে, উক্ত জরিমানাকে অগ্রহণযোগ্য ও জনগণের সাথে উপহাস। বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীগুলো কতটা অদক্ষ এবং অযোগ্য তা ইতিমধ্যে সিমিটার, অক্সিডেন্টাল ও নাইকো কোম্পানীর কর্মকান্ড থেকেই তা স্পষ্ট হয়েছে। ক্ষতিপূরণ আদায় করার জন্য সরকারের কোন আগ্রহ নেই। ১৯৯৭ সালে মাগুরছড়া ব্লো-আউটে গ্যাস সম্পদ বিনষ্ট ও পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিটি এ ক্ষতির হিসাবটি সরকারকে রিপোর্ট দেয়। সরকার সে মোতাবেক অক্সিডেন্টাল কোম্পানীর কাছে ক্ষতিপূরণ দাবী করে। কিন্তু কোম্পানী ক্ষতিপূরণ দেবার কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে সরকার পক্ষ জানায়। পরবর্তীতে অক্সিডেন্টাল কোম্পানী আরেক মার্কিন কোম্পানী ইউনোকলের কাছে অবৈধভাবে হস্তান্তর করে চলে যায়। পরে আবার ইউনোকল কোম্পানীও তাদের স্বত্ব শেভরনের কাছে বিক্রি করে চলে যায়। কিন্তু মাগুরছড়া ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আর ফয়সালাই হলো না। গ্যাস ও তেল উত্তোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানীর সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিগুলো ভয়াবহভাবে অসম, অযৌক্তিক, লুণ্ঠনভিত্তিক, জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। সরকারের নমনীয় নীতির জন্যই দেশের অমূল্য গ্যাস সম্পদ ও পরিবেশ-প্রতিবেশ বিনষ্ট করেও বিদেশী কোম্পানী পার পেয়ে যাচ্ছে। আর কতদিন বাংলাদেশের জনগণের মূল্যবান এই গ্যাস সম্পদ নিয়ে বিদেশী কোম্পানীর খামখেয়ালী ও লুণ্ঠন সহ্য করে যাবে সরকার। এটি মোটেই জনগণের কাম্য নয়।
একটি গ্যাসকূপ খনন করতে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীকে ডেকে এনে শেয়ার দেওয়ার প্রয়োজন নেই এ কাজ জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স নিজেই করতে পারে। বাপেক্সকে দিয়েই বাংলাদেশের সকল গ্যাসকূপ খনন করা বাঞ্চনীয়। এক্ষেত্রে সরকারের আর্থিক অসঙ্গতির কথা উঠা অবান্তর। ছাতক গ্যাসক্ষেত্রে মজুদ ৬,৭১৬ কোটি টাকার গ্যাস সম্পদ বা মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রে ১৪ হাজার কোটি টাকার গ্যাস বা এমবি-২, এমবি-৩, এমবি-৪, এমবি-৫সহ বাংলাদেশের সকল গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নে প্রতিটি কূপে মাত্র ৪০ কোটি টাকা খরচের সঙ্গতি না থাকার যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। আর বাপেক্সের কারিগরি ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করা অজ্ঞতা ও প্রতারণার সামিল। বাপেক্স ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে এবং ফেঞ্চুগঞ্জ ও সালদানদী গ্যাসক্ষেত্রসমূহে কূপ খনন করে গ্যাস উৎপাদন চালু রেখেছে। তাই ছাতক গ্যাসক্ষেত্রে-মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রে, এমবি-২, এমবি-৩, এমবি-৪, এমবি-৫ সহ বাংলাদেশের সকল গ্যাসক্ষেত্রে বাপেক্সকে দায়িত্ব দিতে অসুবিধা কোথায় ছিল?
স্থানীয়রারা জানান, সে সময় অগ্নিকাণ্ডে প্রায় তিন হাজার একর ফলের বাগান, শতাধিক পুকুরের মাছ, সবজি বাগান নষ্ট হয়ে যায়। গ্যাস ফিল্ডের আশপাশের এলাকার বিশুদ্ধ পানীয় জলের টিউবওয়েলগুলোতে দেখা দেয় মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক। টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ডের অগ্নিকাণ্ডের দুই দশক পরেও এলাকার সবাই মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। গ্যাসফিল্ডের আশপাশের গ্রামবাসীদের একটি বড় অংশ শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, চর্মরোগ, আর্সেনিকসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কানাডিয়ান বহুজাতিক কোম্পানি নাইকোর অদক্ষতার কারণে পরপর দুই দফা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হয় গ্যাস ফিল্ডসহ এলাকার টেংরাটিলা, আজবপুর, গিরিশনগর, ইসলামপুর, ভুজনা, আলীপুর, শান্তিপুরসহ ১০টি গ্রামের মানুষ।
ওই এলাকাগুলোর টিউবওয়েলের পানিতে মাত্রতিরিক্ত আর্সেনিক থাকায় এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র। টেংরাটিলা গ্রামে গভীর নলকূপের মাধ্যমে ২১৬টি পরিবারে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। এছাড়া সামর্থ্যবানরা ব্যাক্তিগত উদ্যোগে গভীর নলকূপ স্থাপন করে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ গ্রামবাসীর সামর্থ্য না থাকায় এ সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। এখনও গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন এলাকায় দু-একটি জলাশয়ে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছে। স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনিরাপদ উপায়ে রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করছেন গ্যাসফিল্ডের পার্শ্ববর্তী আবাসিক এলাকার শতাধিক পরিবার।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে টেংরাটিলা কূপ খনন কালে গ্যাস ব্লো আউটের ফলে তৎকালীন সময়ের স্বাস্থ্যগত প্রভাব বিষয়ক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ৪৫ জন, হৃদরোগে ২২ জন, চর্মরোগে ৩৬ জন এবং অন্যান্য রোগে ২২ জনসহ মোট ১২৯ জন আক্রান্ত হয়। কিন্তু বাস্তবে এসব রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে ড্রোন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এ ঘটনায় সরকার আর্ন্তজাতিক আদালতে ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করে। বর্তমানে আর্ন্তজাতিক আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।
গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন আজবপুর গ্রামের এক গৃহিনী আক্তার বলেন, তাদের বাড়ির টিউবওয়েলে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক থাকায় পানি ব্যবহার করার ফলে হাত খসখসে হয়ে যায়, মাথার চুল পড়ে যায় পানি দিয়ে কাপড়চোপর ধোয়ার ফলে কাপড়ের রংও বদলে যায়।
আর্ন্তজাতিক আদালতে দায়ের করা নাইকো ক্ষতিপূরণ মামলার অন্যতম সাক্ষী ও টেংরাটিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ অগ্নিকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বলেন, টেংরাটিলা অগ্নিকান্ডের ফলে গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এর প্রভাব পড়ে। এখনও গ্যাসফিল্ডের আশপাশের এলাকায় কোনও উদ্ভিদ জন্মায় না। কোনও গাছের চারা লাগানো হলে বছর খানেক জীবিত থাকে পরে আবার মরে যায়। এখানে কোনও ফসল হয় না।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডাঃ বিষ্ণু প্রসাদ চন্দ বলেন, টেংরাটিলায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে যে গ্যাস বের হচ্ছে এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপুর্ণ। এভাবে গ্যাস বের হতে থাকলে গ্যাসফিল্ড এলাকার মানুষের চোখে ঝাপসা দেখা, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ হতে পারে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের পর সেখানে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। গ্যাস ফিল্ড এলাকায় যাতে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে প্রশাসন।
পরিশেষে, দেশের সামগ্রিক জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থেই টেংরাটিলায় দায়িত্বহীনতার কারণে যে ব্লো-আউট ঘটেছে এবং গ্যাস সম্পদ, পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে; এর ক্ষতিপূরণ কানাডিয়ান বহুজাতিক কোম্পানি নাইকো’র কাছ থেকে আদায় করার বিষয়টি দ্রুত ফয়সালা হওয়া জরুরী।
#
সৈয়দ আমিরুজ্জামান
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট;
বিশেষ প্রতিনিধি, সাপ্তাহিক নতুনকথা;
সম্পাদক, আরপি নিউজ;
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, জাতীয় কৃষক সমিতি;
সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, মৌলভীবাজার জেলা;
‘৯০-এর মহান গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক ও সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী।
সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়ন।
সাধারণ সম্পাদক, মাগুরছড়ার গ্যাস সম্পদ ও পরিবেশ ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ আদায় জাতীয় কমিটি।
প্রাক্তন সভাপতি, বাংলাদেশ আইন ছাত্র ফেডারেশন।
WhatsApp : 01716599589
মুঠোফোন: ০১৭১৬৫৯৯৫৮৯
Bikash number : +8801716599589 (personal)
Post Views:
৩,০৫৭