আমার ভাইয়ের জামিন হওয়ার পর আরেকটা মামলায় যুক্ত করা হয়: সাইফুল হক

প্রকাশিত: ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২৫

আমার ভাইয়ের জামিন হওয়ার পর আরেকটা মামলায় যুক্ত করা হয়: সাইফুল হক

Manual8 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৭ জুন ২০২৫ : বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার ছোট ভাই, যিনি একজন সাবেক সিনিয়র সচিব এবং রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাজ্ঞ, দক্ষ ও নিরপেক্ষ আমলা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সরকারি চাকরি থেকে ৫ বছর আগে অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে চারটি খুনের মামলায় জড়িয়ে আছেন।

যার একটিরও সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন কমরেড সাইফুল হক।

কমরেড সাইফুল হক বলেন, ‘আমার ভাই সরকারের আমলে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এমন একজন আমলা, যাকে গত ৫৪ বছরে গড়ে ওঠা রাষ্ট্রের সেরা কয়েকজন আমলার কাতারে রাখা যায়। অথচ আজ তাকে খুনের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

Manual1 Ad Code

তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো আজ আমাদের পরিবারকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে।’

Manual6 Ad Code

তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে প্রতি ১৫ দিন পরপর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজিরা দিতে হয়। জেলের প্রবেশপথে আমার হাতে সিল দেওয়া হয়, যেন আমি একজন অভিযুক্তের আত্মীয়। আমার ভাইয়ের মেয়ে বর্তমানে লন্ডনে পিএইচডি করছেন, স্ত্রী ও কন্যা দুজনেই গুরুতর অসুস্থ।

এই অবস্থায় পুরো পরিবার এক অমানবিক চক্রে আটকে পড়েছে।’

Manual7 Ad Code

কমরেড সাইফুল হকের দাবি, প্রথম তিনটি মামলায় জামিন পাওয়ার পরই চতুর্থ মামলাটি দায়ের করা হয়। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা আর জামিন চাইছি না, কারণ জামিন পেলেই নতুন করে আরেকটা মামলায় নাম জড়ানো হচ্ছে।’

Manual4 Ad Code

টকশোতে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি জানান, আদালতে তার ভাইকে দেখে শত শত মানুষ আবেগে কেঁদে ফেলেছিলেন। ‘আমাকে বলা হয়েছিল যেন কোর্টে আবেগপ্রবণ না হই।

কিন্তু আমি জানি, আমার ভাই ঢাকার ডিসি থাকাকালীন কত জনপ্রিয় ছিলেন। সাধারণ মানুষ কীভাবে তাকে ভালোবেসেছে’, বলেন কমরেড সাইফুল হক।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, এরকম পরিস্থিতিতে শুধু তার পরিবার নয়, আরও বহু পরিবার ভুক্তভোগী। তিনি জানান, সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ কারাগারে গেলে তিনি দেখেন, এক সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট, যিনি আগে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে একটি নেতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছিলেন, এই কারণে তাকেও একটি আইসিটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই ম্যাজিস্ট্রেট হাজিরা দিতে এসেছিলেন স্ত্রী ও ছোট শিশুসন্তানকে নিয়ে।

কমরেড সাইফুল হক বলেন, ‘এই হচ্ছে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি। আজ যারা রাতারাতি ৩-৪টি প্রমোশন পেয়েছেন, তারা এখন সেই পুরনো, নিরপেক্ষ আমলাদের টার্গেট করে দেখিয়ে দিতে চাইছেন, আমরা কী করতে পারি।’

কমরেড সাইফুল হক জানান, তিনি এই বিষয়ে প্রায় ৬-৭ মাস পর টিভিতে মুখ খুললেন।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code