সিলেট ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক | রাজশাহী, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : রাজশাহীতে মব ভায়োলেন্সের শিকার হয়েছে আহলে বায়েত ও মাইজভান্ডারি তরীকার অনুসারীদের প্রতিষ্ঠিত একটি খানকা শরীফ। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি ও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে এ খানকা শরীফ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জুমার নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।
মাইজভান্ডারি তরীকার অনুসারী ও স্থানীয় খলিফা আজিজুর রহমান ভাণ্ডারি প্রায় ১৫ বছর আগে পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে প্রতিষ্ঠা করেন ‘হক বাবা গাউছুল আজম মাইজ ভাণ্ডারি গাউছিয়া পাক দরবার শরীফ’। তিনি এলাকায় ‘পীর’ হিসেবে পরিচিত।
প্রতিবছর এখানেই ঈদে মিল্লাদুন্নবী (দ.) পালিত হয়ে আসছে।
এবার গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনের মিলাদ আয়োজন ছিল। সেখানে নারী শিল্পীদের অংশগ্রহণ, ভাণ্ডারি ও মুর্শিদী গান পরিবেশনের বিষয়টি উল্লেখ করে এলাকায় মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করা হয়।
মাইজভান্ডারি তরীকার অনুসারী ও স্থানীয় খলিফা আজিজুর রহমান ভাণ্ডারি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কিছু লোক অনুষ্ঠান বন্ধ করতে চাপ দিচ্ছিল।
গত রাতে তারা পবা থানায়ও গিয়েছিল। জুমার নামাজের পর তারা একত্রিত হয়ে খানকায় হামলা চালায়।’
মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে এ হামলার আশঙ্কায় ওইদিন খানকা এলাকায় দুই গাড়ি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলামও ঘটনাস্থলে ছিলেন।
তবে হামলার সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও মব ভায়োলেন্স সৃষ্টিকারীদের থামাতে পারেনি।
হামলার ভিডিওতে দেখা যায়, দেড় শতাধিক লোক টিন দিয়ে ঘেরা খানকায় হামলা চালাচ্ছে।
ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ এত বেশি ছিল যে অল্পসংখ্যক পুলিশ দিয়ে কিছু করা সম্ভব হয়নি। এখন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মাইজভান্ডারি তরীকার অনুসারী ও স্থানীয় খলিফা আজিজুর রহমান ভাণ্ডারি বলেন, ‘আমি বের হইনি।
ভক্তরা আমাকে বাড়িতে রেখেছে। হামলাকারীরা আমার বাড়িতেও ইট-পাটকেল ছুড়েছে।’
তবে তিনি থানায় কোনো অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যেখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকেও কিছু করতে পারেনি, সেখানে অভিযোগ করব কার কাছে? আমি মানবধর্ম করি, সবাইকে মাফ করে দিলাম। আল্লাহও যেন তাদের মাফ করে দেন।’
মাইজভান্ডারি তরীকার অনুসারী ও খলিফা আজিজুর রহমান ভাণ্ডারি অভিযোগ করেন, ইউপির সাবেক সদস্য গোলাম মোস্তফা হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গতরাতে থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু হামলার সময় ছিলাম না।’
পবা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী হোসেন বলেন, ‘খানকা ভাঙার দরকার কী? যার যেটা বিশ্বাস, সে সেটা করবে। বিএনপি হলেও ছাড় নেই।’
জামায়াতে ইসলামীর পবা উপজেলার আমির আযম আলীও দায় অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের দলের কেউ হামলায় যায়নি।’
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি