খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণ: এমজেএফ-এর তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে ন্যায়বিচারের দাবি

প্রকাশিত: ৫:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫

খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণ: এমজেএফ-এর তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে ন্যায়বিচারের দাবি

Manual2 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : খাগড়াছড়িতে ১২ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দেশব্যাপী চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

মানবাধিকারভিত্তিক সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সকল অপরাধীর গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই নির্মম সহিংসতা বাংলাদেশের শিশু ও নারীদের নিরাপত্তাহীন অবস্থার জ্বলন্ত প্রমাণ।

এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, “এই মর্মান্তিক নির্যাতন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি দায়মুক্তির সংস্কৃতির প্রতিফলন, যেখানে নারী ও শিশুরা সর্বদা ঝুঁকির মুখে থাকে এবং অপরাধীরা শাস্তির ভয় ছাড়াই অপরাধ করে যায়। শিশু ও নারীরা নিজেদের সমাজেই নিরাপদ নয়—এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”

ভুক্তভোগীর পরিস্থিতি

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর তাকে একটি মাঠে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। বর্তমানে সে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং প্রয়োজন।

Manual6 Ad Code

এমজেএফ-এর দাবি

এমজেএফের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, শিশু ও নারীর বিরুদ্ধে এ ধরনের জঘন্য অপরাধ রোধে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা নিতে হবে।

সংগঠনটি চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়েছে—

Manual1 Ad Code

১. সকল অপরাধীর দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা।

২. শিশু ও নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার জন্য কঠোর শাস্তি কার্যকর করা।

৩. ভুক্তভোগীদের আশ্রয়, কাউন্সেলিং ও জীবিকাসহায়তা প্রদান।

জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার স্বাভাবিকীকরণ রোধে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচার চালানো

Manual2 Ad Code

শাহীন আনাম আরও বলেন, “প্রত্যেক নারী ও শিশু ভয় ও ক্ষতির বাইরে নিরাপদ জীবনযাপনের অধিকার রাখে। নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেবল অপরাধীদের উৎসাহিত করে। বিচার বিলম্বিত হলে তা আসলে সঠিক বিচার না পাওয়া।”

জাতীয় উদ্বেগ

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারী ও শিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার এ প্রবণতা বন্ধে কেবল আইন প্রয়োগ নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনও অপরিহার্য বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

সমাপনী আহ্বান

এমজেএফ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে এবং সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে—নারীর মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না। সহিংসতা বন্ধে পুরো সমাজকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।

 

Manual5 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code