আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস আজ

প্রকাশিত: ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২৫

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস আজ

Manual5 Ad Code
মহাত্মা গান্ধীর দর্শন আজও সমান প্রাসঙ্গিক

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ২ অক্টোবর ২০২৫ : আজ ২ অক্টোবর, মহাত্মা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর জন্মদিন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিনটি বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস’ হিসেবে। ২০০৭ সালে ভারতের প্রস্তাবনায় জাতিসংঘ সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণা দেয়। অহিংসা ও সত্যাগ্রহের দর্শনকে বিশ্বজনীন মূল্যবোধে উন্নীত করার স্বীকৃতিস্বরূপ এ দিবস পালিত হয়ে আসছে।

অহিংস আন্দোলনের পথিকৃৎ

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মহাত্মা গান্ধী ছিলেন অহিংস সংগ্রামের মহান দিশারী। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর হাতিয়ার ছিল অসহযোগ, শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ এবং সত্যাগ্রহ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে তিনি অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

Manual7 Ad Code

গান্ধীজীর রাজনৈতিক দর্শন, তাঁর আত্মত্যাগ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি অঙ্গীকার কেবল স্বাধীনতার ইতিহাসেই নয়, বর্তমান বিশ্বে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও এক অনন্য অনুপ্রেরণা। তিনি বলেছিলেন, “Be the change you want to see in the world”—অর্থাৎ আপনি নিজেই সেই পরিবর্তন হোন, যা আপনি বিশ্বে দেখতে চান।

বিশ্বনেতাদের প্রেরণা

গান্ধীর অহিংস আন্দোলন বিশ্বজুড়ে অসংখ্য নেতাকে প্রভাবিত করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এবং আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রথম প্রেসিডেন্ট আলবার্ট লুসিলি তাঁদের আন্দোলনে গান্ধীবাদী দর্শনের অনুপ্রেরণা খুঁজে পেয়েছিলেন।

চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে গান্ধী

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চট্টগ্রামের ভূমিকা দেখে গান্ধীজী অভিভূত হয়ে লিখেছিলেন, “Chittagong to the fore”। তিনি দু’বার চট্টগ্রামে আগমন করেন—১৯২১ সালের ৩১ আগস্ট এবং ১৯২৫ সালের ১২ মে।

Manual6 Ad Code

এছাড়া নোয়াখালীতে প্রায় চার মাস অবস্থান করে গান্ধীজী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করেন। অসংখ্য গ্রামে ঘুরে তিনি দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেন। নোয়াখালীতে প্রতিষ্ঠিত গান্ধী আশ্রম আজও তাঁর মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের স্মারক হয়ে রয়েছে।

Manual2 Ad Code

বিশ্ববিজ্ঞানীর শ্রদ্ধা

১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি দিল্লিতে আততায়ীর গুলিতে গান্ধীজীর জীবনাবসান ঘটে। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তখন বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছিলেন, “Generations to come, it may well be, will scarce believe that such a man as this one ever in flesh and blood walked upon this Earth.”

আজকের প্রেক্ষাপটে গান্ধীবাদ

অর্থনৈতিক বৈষম্য, সহিংসতা, যুদ্ধ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের সময়ে গান্ধীবাদী দর্শন আজও সমান প্রাসঙ্গিক। সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য তাঁর শিক্ষা মানবতার পথপ্রদর্শক।

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে গান্ধীর বর্তমান সময়ে প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে একটি বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এটি দর্শকরা দেখতে পারবেন নিচের লিঙ্কে—

???? Facebook Video Link
???? Official Website Link

Manual4 Ad Code

Link 1:https://www.facebook.com/watch/?v=488531608798621
Link 2: https:// https://ahcichittagong.gov.in/।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code