যুব কণ্ঠে কূটনীতির নতুন দিগন্ত: ১২তম আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন উদযাপন

প্রকাশিত: ১১:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২৫

যুব কণ্ঠে কূটনীতির নতুন দিগন্ত: ১২তম আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন উদযাপন

Manual3 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), ০৬ অক্টোবর ২০২৫ : UNGA80 উচ্চপর্যায়ের সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ১২তম আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনটি ছিল তরুণদের উদ্যম, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের এক অনন্য প্রতিফলন। দিনব্যাপী নানা প্যানেল আলোচনা, কর্মশালা ও কৌশলগত সংলাপে তরুণ প্রতিনিধিরা যুবশক্তির অংশগ্রহণ, শান্তি প্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল উদ্ভাবন ও কূটনৈতিক নেতৃত্বের বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে মতবিনিময় করেন।

সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল — “From Ideas to Impact: Youth Driving Peace, Innovation & Inclusion” — যার লক্ষ্য ছিল তরুণদের আইডিয়াকে বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে বৈশ্বিক পরিবর্তনের অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

প্রভাবশালী বক্তাদের অংশগ্রহণ

দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় যোগ দেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও তরুণ নেতৃত্বরা।
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন —

হাওয়া লিমান, নাইজেরিয়ার উপ-রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের নারী ও যুব সম্পৃক্ততা বিষয়ক টেকনিক্যাল উপদেষ্টা;

Manual1 Ad Code

অ্যালিসা চ্যাসম্যান, নির্বাহী পরিচালক, UNITE 2030;

ইসাবেলা লিয়াল আগুইলার, মানবাধিকার আইনজীবী, হার্ভার্ড ল’ স্কুল;

নিকোল (ওয়েই-টাং) লিং, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, NATO Association of Canada;

জর্জ ভ্যালদারাবানো, অ্যাডভোকেসি অফিসার;

জ্যাক কুপফারম্যান, চিফ ক্যাটালিস্ট অফিসার, Gray Panthers NYC;

সিনথিয়া স্যামুয়েল-ওলনজুয়োন, প্রাক্তন আঞ্চলিক পরিচালক, ILO (আফ্রিকা);

Manual7 Ad Code

পুষ্পা জোশি, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, YoSHAN (নেপাল) ও Women Deliver Young Leader;

Manual8 Ad Code

কনস্টান্টিনোস পাপাদাকিস, জাতিসংঘের সমাজ উন্নয়ন নীতি বিশেষজ্ঞ;

বারবারা অ্যাডামস, Global Policy Forum;

জোয়া কালিনস্কি, UN Women Youth Advocate ও UnitEd Youth Council-এর প্রতিষ্ঠাতা;

বিয়ানকা লুইস, Founder & CEO, Girls Who Hack;

উইলিয়াম ম্যাককিন, সাবেক এফবিআই কর্মকর্তা ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ;

কানিকা জোশি, Founder, Impact Sector
সহ আরও অনেকে।

আলোচনা ও কর্মশালাগুলো পরিচালনা করেন জয়া ব্যারি, আইশু ও নিনো বুরজানাদজে, যাঁরা তরুণ অংশগ্রহণকারীদের নেতৃত্বের দক্ষতা ও কূটনৈতিক সংলাপের বাস্তব প্রয়োগে অনুপ্রাণিত করেন।

আলোচনার মূল বিষয়সমূহ

দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে চারটি প্রধান থিমের ওপর আলোচনা হয়:

১. Youth Empowerment & Policy Engagement – যুবকদের সরকারি নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার উপায়।

২. Peacebuilding & Diplomacy in Action – শান্তি প্রতিষ্ঠায় তরুণদের ভূমিকা ও কূটনৈতিক কৌশল প্রয়োগ।

৩. Digital Innovation for Development – প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সাইবার নিরাপত্তায় তরুণদের নেতৃত্ব।

৪. Sustainable Leadership & Inclusion – টেকসই উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ নির্মাণ।

তরুণদের কণ্ঠে আশা ও সম্ভাবনা

UNITE 2030-এর নির্বাহী পরিচালক অ্যালিসা চ্যাসম্যান বলেন, “আজকের তরুণরা শুধু ভবিষ্যতের নেতা নয়, তারা বর্তমানের নীতিনির্ধারক ও পরিবর্তনসাধক। তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।”

অন্যদিকে, বিয়ানকা লুইস তরুণ নারীদের সাইবার নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি খাতে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “যুব সমাজের প্রতিটি কণ্ঠই প্রযুক্তি ও শান্তির মেলবন্ধনে নতুন অধ্যায় রচনায় সক্ষম।”

কূটনীতি থেকে কর্মে: বাস্তব প্রয়োগের আহ্বান

আলোচকরা জোর দেন, কেবল আলোচনা নয় — নীতি থেকে বাস্তব কর্মপরিকল্পনায় রূপান্তরই আজকের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এজন্য শিক্ষা, প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা উদ্যোগ ও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা জরুরি।

উপসংহার

দ্বিতীয় দিন শেষে আয়োজকরা জানান, এই সম্মেলন শুধু একটি আলোচনামঞ্চ নয়, বরং এটি তরুণ নেতৃত্বের মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি, উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তির যাত্রায় নতুন প্রেরণা জোগাবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মঞ্চে এমন যুব নেতৃত্বের উপস্থিতি প্রমাণ করে — ভবিষ্যতের কূটনীতি এখন তরুণদের হাতে গড়ে উঠছে।

 

Manual3 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code