৭ম চিন্তার চাষ ক্ষুদে গবেষক সম্মেলন ২০২২

প্রকাশিত: ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২

৭ম চিন্তার চাষ ক্ষুদে গবেষক সম্মেলন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ : স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ও সৃজনশীলতা লালনের লক্ষ্যে স্কুলে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে স্বেচ্ছাসেবী গবেষণা সংগঠন ‘চিন্তার চাষ’। এরই ধারাবাহিকতায় ‘চিন্তার চাষ’ স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে অদ্য বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২) ‘৭ম চিন্তার চাষ ক্ষুদে গবেষক সম্মেলন ২০২২’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে সারা দেশের স্কুলের ৭ম হতে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গবেষণা পত্র/ধারণাপত্র উপস্থাপন করবে।
অংশগ্রহণকারী:
৭ম হতে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী (সাইন্স, আর্টস এবং কমার্স অর্থাৎ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে)
অংশগ্রহণের ধরণ:
ক. একক
খ. দলীয় (ধারণাপত্রের জন্য ৩ জনের অধিক নয়, তবে গবেষণা পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য নেয়া যাবে)
আয়োজন/ইভেন্ট:
ক. গবেষণা পত্র উপস্থাপন
খ. ধারণাপত্র উপস্থাপন
*দেশের খ্যাতিমান গবেষক ও বিজ্ঞানীগণ গবেষণাপত্র/ধারণাপত্রসমূহ মূল্যায়ন করবেন।

৭ম চিন্তার চাষ ক্ষুদে গবেষক সম্মেলন ২০২২: প্রাথমিক বাছাই ফলাফল প্রকাশিত হলো –
৭ম চিন্তার চাষ ক্ষুদে গবেষক সম্মেলন ২০২২: প্রাথমিক বাছাই ফলাফল
গবেষণাপত্র/ধারণাপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখঃ
১৮ আগস্ট ২০২২

প্রাথমিক বাছাইঃ
২৫ আগস্ট ২০২২

রেজিস্ট্রেশনঃ
২৬ – ৩১ আগস্ট ২০২২
(শুধু প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণরাই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে)

রেজিস্ট্রেশন ফিঃ
জন প্রতি টাকা ৫০০/-

যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগঃ
০১৭১২ ১৪৭ ৫১৯
০১৯১১ ২২৮ ৮৪৩
০১৭১৭ ৪০০ ৮৭১
০১৬৭০ ২১৩ ৭০৭

গবেষণাপত্র লেখার নিয়ম

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণা করার পর গবেষণা পত্র লিখতে হয়। একটি গবেষণা পত্রে নিম্ন বর্ণিত বিষয়সমূহ থাকবে –

ক. শিরোনাম: যে গবেষণাটি করা হয়েছে তার একটি শিরোনাম থাকবে। শিরোনাম এক বাক্যের হবে। এটি এমন হবে যাতে পুরো গবেষণা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া য়ায়।

খ. সারাংশ: সম্পূর্ণ গবেষণা কাজটি কোন পদ্ধতিতে করা হয়েছে তা খুবই সংক্ষেপে লিখে প্রাপ্ত ফলাফল লিখতে হবে।

গ. ভূমিকা: গবেষণাটি কোনো তত্ত্ব বা নীতির উপর ভিত্তি করে করা হয়ে থাকলে সেটি উল্লেখ করতে হবে। শিরোনামে কোন বৈজ্ঞানিক বা বিষয়ভিত্তিক শব্দ ব্যবহার করলে তার অর্থ লিখতে হবে। এছাড়া কেন এই গবেষণাটি করা হয়েছে তা ভূমিকায় উল্লেখ করতে হবে।

ঘ. গবেষণা সম্পর্কে অন্যদের কাজ: পৃথিবীর অন্যান্য বিজ্ঞানী বা গবেষক এই গবেষণার বিষয়ে কোন কাজ করে থাকলে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ। এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

ঙ. কাজের পদ্ধতি: গবেষণা কাজটি কিভাবে করা হয়েছে তার বিবরণ এই অংশে থাকবে। গবেষণায় কোনো উপকরণ বা যন্ত্র ব্যবহার করলে তা উল্লেখ করতে হবে।

চ. ফলাফল বিশ্লেষণ: এই অংশে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল এবং এর গুরুত্ব লিখতে হবে।

ছ. উপসংহার: এক নজরে ফলাফল উল্লেখপূর্বক ভবিষ্যৎ গবেষণার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা যেতে পারে।
ধারণাপত্র লেখার নিয়ম

চলমান জীবনে আমরা প্রতিদিন যে সমস্যার মুখোমুখি হই বা মানুষের মৌলিক প্রয়োজন (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা) নিয়ে যে সমস্যা আমরা অনুভব করি বা বৈশ্বিক যে পরিস্থিতি আমাদের উদ্বিগ্ন করে বা অন্য যেকোনো সমস্যা সমাধানে কোনো প্রস্তাব বা উপায় ধারণাপত্রে উল্লেখ করতে হবে। নিম্ন বর্নিত বিন্যাসে ধারণা পত্র লিখতে হয়।

ক. শিরোনাম: ধারণাপত্রের একটি শিরোনাম থাকবে। শিরোনাম এক বাক্যের হবে যাতে যে সমস্যার সমাধান প্রস্তাব করা হচ্ছে তার সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া য়ায়।

খ. বিষয়বস্তুর বর্ণনা: সমস্যা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং মানুষের উপর এর প্রভাব কী অর্থাৎ কেন এই সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব করা হয়েছে তা এ অংশে থাকবে।

গ. সমস্যা সমাধানে তোমার প্রস্তাবনা: সমস্যাটি কীভাবে সমাধান করা যায় সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা উল্লেখ করতে হবে।

ঘ. অনুমিত ফলাফল: এই অংশে যে ফলাফল প্রত্যাশা করা হচ্ছে সেটি এবং তার গুরুত্ব লিখতে হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ