আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ২:০০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০২৩

আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ২০ নভেম্বর ২০২৩ : তিনদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় ইসলাহী জোড় সফল করার লক্ষ্যে সোমবার (২০ নভেম্বর ২০২৩) সকাল ১১টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে দেশের প্রাচীনতম সংগঠন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা শাব্বীর আহমদ ফতেহপুরী বলেন, কুরআন সুন্নাহর আলোকে সু-সংগঠিত খোদাভীরু জাতি ও সমাজ গঠন ও আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৪ সালে গঠিত হয় আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। উপমহাদেশের বরেণ্য আলেম, কুতবে দাওরান মুজাদ্দিদে যামান শাইখুল ইসলাম আল্লামা লুৎফুর রহমান শায়খে বর্ণভী (রহ.) এ সংগঠন প্রতিষ্ঠাতা করেন।

প্রতিষ্ঠার পর শায়খে বরুণী (রহ.) আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের মৌলিক ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কর্মসূচিগুলো হলো: ১. দাওয়াত। ২. সংগঠন। ৩. তালীম। ৪. তারবিয়াত ও তাযকিয়া। ৫. খেদমতে খালক তথা সৃষ্টির সেবা। ৬. আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকার।

পঞ্চাশের দশকে ইসলামী রেনেসা ও সংস্থার আন্দোলনে এদেশে যারা নেতৃত্বে ছিলেন তাদের প্রায় সকলেই আঞ্জুমানের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও কর্মসূচির সাথে ঐক্যমত পোষণ করেছিলেন। তৎকালীন ভারত ও পাকিস্থানের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখদেরও সমর্থন ছিলো আঞ্জুমানের প্রতি।

আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও কর্মসূচির আলোকে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ঐকা প্রয়াসী এ সংগঠনটি সু-সংগঠিত জাতি ও সমাজ বিনির্মাণে ব্যাপকভাবে দ্বীনি দাওয়াত ও সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করে চলেছে।

বর্তমানে দেশ ও বিদেশে আঞ্জুমানের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে সোনার মানুষের প্রয়োজন। তাই প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে জরুরিয়াতে দ্বীনের জ্ঞান বিতরণ ও চর্চায় আঞ্জুমানের রয়েছে পাঁচটি কর্মধারা।

কর্মধারাগুলো হলো: ১. পবিত্র কুরআনুল কারীমের দশটি সুরা মশক। ২. জরুরি মাসাইলের আলোচনা। ৩. আল মুনাদী। ৪. ছয় মঞ্জিলের আলোচনা। ৫.পঞ্চাশঘরী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন এবং চতুর্থ কর্মসুচি তারবিয়াত ও তাযকিয়া তথা আত্মশুদ্ধির লক্ষ্যে আরো দুটি কর্মধারা রয়েছে। ১. সাপ্তাহিক ইউনিয়ন ভিত্তিক চিল্লা। ২. মাসিক শবগুজারী।

মাওলানা শাব্বীর আহমদ ফতেহপুরী আরও বলেন, ধর্মীয় জ্ঞান চর্চা ও আত্মশুদ্ধিমূলক কর্মসূচি সমূহ আঞ্জুমানের শাখা সংগঠনগুলোতে চলমান রয়েছে। সকল আহলে তাওহিদের মধ্যে ঐক্য, জরুরিয়াতে দ্বীনের জ্ঞান চর্চার প্রেরণা, আমল ও আত্মশুদ্ধির আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং এ প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যে আগামী ২৩-২৪ নভেম্বর বৃহস্পতি ও শুক্রবার শ্রীমঙ্গলের ভৈরবগঞ্জ বাজারস্থ শেখবাড়ী জামিয়া মাদরাসা মাঠে আয়োজন করা হয়েছে তিনদিনব্যাপী ‘কেন্দ্রীয় ইসলাহী জোড়’।

এতে ইংল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ এবং রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী স্কলারগণ জোড় ও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। ইতোমধ্যে ইসলাহী জোড়ের সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আশাকরি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন।

এ সংগঠনটির লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জিয়া উদ্দিন ইউসুফ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লুৎফুর রহমান জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মাওলানা সাইফুর রহমান মক্কি, সংগঠনের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সেক্রেটারি ইসমাঈল হোসেন এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ আজিজুর রহমান ফটিক।

 

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ