চুরি হওয়া সিএনজি উদ্ধারের নামে এক নারীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:১১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৪

চুরি হওয়া সিএনজি উদ্ধারের নামে এক নারীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ২১ অক্টোবর ২০২৪ : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চুরি হওয়া সিএনজি আটোরিকশা উদ্ধারের নামে সিএনজি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েক জন নেতা কর্তৃক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক নারী।

সোমবার (২১ অক্টোবর ২০২৪) দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার শংকরসেনা এলাকার মৃত রাজা মিয়ার মেয়ে লাইলি বেগম লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, তার কিস্তিতে কিনা ৬ লাখ টাকার একটি সিএনজি গত বছরের ১৮ আক্টোবর চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি তিনি প্রথমে উপজেলার উদনাপার এলাকার আব্রুজ মিয়ার ছেলে ও সিএনজি উপজেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন তুর্কিকে জানান। তখন তিনি আমাকে জানান, একটি চোর চক্র আছে তারা সিএনজি চুরি করে, তিনি আমার সিএনজিটি তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করে দিতে পারবেন। এভাবে অনেক চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি তিনি চোর চক্রের নিকট থেকে উদ্ধার করে দিয়েছেন অন্য মালিকদের। তিনি শর্ত দেন আমার চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি এর বিষয়ে আমি যেন থানায় কোনো অভিযোগ না করি। তাহার কথা মত আমি পুলিশের নিকট কোনো অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সালাউদ্দিন তুর্কির সাথে আরো যোগ দেন সুরমা ভেলী এলাকার রজব আলীর ছেলে ও আব্দুল্লা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আব্দুল্লা ও হবিগঞ্জ রোড সিএনজি ২৩৫৯ গ্রুপ পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. কাইয়ুম মিয়া। এ সময় তারা চোর চক্রের সাথে দেখা করতে হবিগঞ্জ যেতে হবে বলে তার নিকট থেকে গাড়ী ভাড়া ও চোরদের চা নাস্তা খাওয়াতে হবে বলে ৫ হাজার টাকা চেয়ে নেন। পরের দিন তারা আমাকে জানান আমার সিএনজিটি পাওয়া গেছে, তবে চোর চক্র নাকী ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে। তিনি ধার-দেনা ও সুদ করে বিগত বছরের ২৮ অক্টোবর তারিখে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নিকট নগদ ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এ সময় সালরাউদ্দিন তুর্কি তার নিকট থেকে সিএনজির চাবি ও ডকুমেন্ট নিয়ে যান। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা সিএনজি ও টাকা কোন কিছুই ফেরত দেন নাই। এ বিষয়ে একাধিক শালিশ বৈঠক ও থানা পুলিশের নিকট অভিযোগ করলেও তিনি কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। এদিকে সিএনজির কিস্তি চালাতে ও সুদের টাকা পরিশোধ করতে বাড়ী বিক্রি করেও তার ঋণ শেষ হচ্ছে না বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লাইলি বেগমের দুই মামাতো বোন শিক্ষানবিশ আইনজীবি সুফিয়া বেগম ও রওশন আরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিন তুর্কি নিজ হাতে গুণে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সিএনজি উদ্ধারের জন্য গিয়েছিলেন স্বীকার করলেও, চোর চক্র টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং লাইলি বেগমের ভাই টাকা দিয়েছে বলে এর দায় অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গলর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত সহায়তা করা হবে।