কুলাউড়ার মিছিরা খাতুন একাডেমির শিক্ষার্থীদের মাঝে খেলার সামগ্রী ও মিষ্টান্ন বিতরণ

প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৪

কুলাউড়ার মিছিরা খাতুন একাডেমির শিক্ষার্থীদের মাঝে খেলার সামগ্রী ও মিষ্টান্ন বিতরণ

বিশেষ প্রতিনিধি | কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ২৭ অক্টোবর ২০২৪ : কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বিজলী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত মিছিরা খাতুন একাডেমির শিক্ষার্থীদের মাঝে খেলার সামগ্রী, মিষ্টান্ন বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৭ অক্টোবর ২০২৪) দুপুরে এসব বিতরণ সহ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিছিরা খাতুন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ছবর উদ্দিন আহমদ।

উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান, মিছিরা খাতুন একাডেমির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহির উদ্দিন আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজী কামরুল ইসলাম বাবুল, একাডেমির প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল কালাম শিপু, ধীরেন্দ্র কুমার বৈদ্য, সাংস্কৃতিক কর্মী জসীম আহমেদ, সাংস্কৃতিক কর্মী জামাল আহমেদ ও সাংস্কৃতিক কর্মী সাজ্জাদ করীম সহ একাডেমির ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আলহাজ্ব ছবর উদ্দিন আহমদ মিছিরা খাতুন একাডেমির ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানের অতিথি ও প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “শিক্ষা কোন সুযোগ নয়, শিক্ষা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার। আর এ অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। অথচ শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েই গেছে। আজও কিছু মানুষের কাছে শিক্ষা যেন দুরাশা। এ রকম পরিস্থিতিতে এলাকায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ছবর উদ্দিন আহমদ। মহতি এ উদ্যোগের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। মানুষের জীবনে শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক সকল প্রকার অগ্রগতির শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ব্যক্তির সুষ্ঠু জীবন যাপন সামাজিক উন্নয়ন এবং সভ্যতার অগ্রগতির জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। শিক্ষা অতীতের সংস্কৃতিকে বহন করে, বর্তমান সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং ভবিষ্যতের প্রগতিকে ত্বরান্বিত করে। শিক্ষা এক ধরনের গতিশীল কাজ। স্বাধীন, প্রজ্ঞাসম্পন্ন ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠবার সুপ্ত প্রতিভা প্রত্যেকটা শিশুরই আছে। সকল শিশুর এ অধিকার নিশ্চিত করার নিমিত্তে কাজ করতে হবে।”