গণ-অভ্যুত্থানে যেয়ে অধিকাংশ লোক প্রতারিত হয়েছে: এম এম আকাশ

প্রকাশিত: ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২৫

গণ-অভ্যুত্থানে যেয়ে অধিকাংশ লোক প্রতারিত হয়েছে: এম এম আকাশ

Manual8 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ০৪ জুলাই ২০২৫ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেছেন, ‘তোমরা যে গণঅভ্যুত্থান করেছিলে তাতে সাধারণ মানুষ গিয়ে প্রতারিত হয়েছে। অধিকাংশ লোক এখন সেখান থেকে সরে যাচ্ছে, অধিকাংশ ছাত্র এখন সেখান থেকে সরে যাচ্ছে। এবং তারা বলা শুরু করেছে, আমরা প্রতারিত হওয়া বোধ করছি।’

গত বুধবার (২ জুলাই ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ১৯৭১ এর রণাঙ্গনের সাথীদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসিন মন্টুর শোকসভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেছেন।

Manual8 Ad Code

তিনি আরও বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর যারা ক্ষমতা নিল তারা বলছে যে, অনেক চুরি হয়েছে; অনেক দুর্নীতি হয়েছে; অনেক লুটপাট হয়েছে এবং সেই লুটপাটের কারণে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারেনি তাদেরকে দূর করা হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন এই সরকারের কাছে যে, এই লুটপাটকারীদেরকে ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় দিয়েছে কে? কে আশ্রয় দিয়েছে রাজার হালে রাখার জন্য। কে তাদের বিচার করছে না, কে তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করছে না, যদি তা না করে তাহলে আসলে লুটপাট দমন তোমাদের উদ্দেশ্য না।

Manual1 Ad Code

এম এম আকাশ আরও বলেছেন, মেটিকুলাস ডিজাইন থেকে উদ্ধার পাওয়ার দুটি উপায় আছে। প্রথম বলতে হবে—তোমরা যে গণঅভ্যুত্থান করেছিলে তাতে সাধারণ মানুষ গিয়ে প্রতারিত হয়েছে। অধিকাংশ লোক এখন সেখান থেকে সরে যাচ্ছে। অধিকাংশ ছাত্র এখন সেখান থেকে সরে যাচ্ছে। এবং তারা বলা শুরু করেছে আমরা প্রতারিত হওয়া বোধ করছি।
কেন বলা শুরু করেছে কারণ আন্দোলনে দুটি ইস্যু ছিল। একটা হলো গণতন্ত্র আরেকটা হলো বৈষম্য নিরসন। বৈষম্য নিরসনের জন্য আপনাকে ধনীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিতরণ করতে হবে, সেটি তারা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আর গণতন্ত্র দেওয়ার আগেই তারা একটি কিংস পার্টি তৈরি করেছে। রাজার দল তৈরি করেছে।

ক্ষমতায় থেকে রাজার দল তৈরি করে গণতন্ত্র আনা যায় না এবং লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করে গণতন্ত্র আনা যায় না। গণতন্ত্র না আনার জন্য তারা ৫ বছর থেকে বহু সংস্কার করার জন্য বহু বক্তব্য দেওয়ার জন্য ৭ হাজার পৃষ্ঠার সংস্কারের বই বানিয়েছে। এবং এই বই যারা বানিয়েছে তারা সকলেই বিদেশি নাগরিক। সুতরাং ওই বই থেকে আমরা কী পাব। ওই বই কার্যকরী কে করবে, ওইগুলো সবই এখন বৃথা। শেষ মুহূর্তে তিনি লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে মিটিং করে ঠিক করেছেন আচ্ছা নির্বাচন না দিয়ে আমার উপায় নেই। আমি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিব না হয় এপ্রিলে দিব। তার মানে এখন একটি জিনিস আটকে আছে—ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হবে।

Manual7 Ad Code

 

Manual6 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code