অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি!

প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৫

অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি!

Manual7 Ad Code

রূপালী রায় |

বছরে মাত্র চারদিন আমরা দেবী দুর্গার আহ্বান জানাই। ঢাকের বাদ্য, কাশফুলের দোল, আলোর ঝলকানি আর প্যান্ডেলের জাঁকজমকে দেবীর আগমনকে স্বাগত জানাই। কিন্তু বাকি তিনশ একষট্টি দিন? সেদিনগুলোতে আমরা অসুরদের সঙ্গেই সহাবস্থান করি। তাদের সামনে মাথা নিচু করি, তাদের আস্ফালনকে ভয় পাই, তাদের দাপটকে সহ্য করি। আমাদের ভীরুতাই যেন অসুরকে অমর করে তোলে—তাই সে বারবার বেঁচে ওঠে, পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে শহর-নগর, মাঠ-প্রান্তর, সর্বত্র।

আমাদের উৎসব ক্রমে পরিণত হচ্ছে কেবল আনন্দ-উল্লাসে। দেবীর মন্ত্র, আরাধনা, ভক্তির তাগিদ কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে। প্যান্ডেল ভরে ওঠে রঙে-আলোয়, নতুন পোশাকে ঢাকা পড়ে যায় গ্লানি আর পাপ। কিন্তু হৃদয়ের অন্তস্তলে দেবীর আবাহন ঘটে কি? সত্যিই কি আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তিকে আমন্ত্রণ জানাই?

এখানেই আসল প্রশ্ন। দুর্গাপূজা যদি কেবল ভোগ-উৎসব হয়ে ওঠে, তবে দেবী আর আসেন না, আসেন কেবল তাঁর প্রতিমা। অসুরও মরে না।

আজকের সমাজে অসুরেরা শুধু পৌরাণিক চরিত্র নয়। তারা আকার নিয়েছে দুর্নীতি, সহিংসতা, নারী নির্যাতন, অসহিষ্ণুতা, লোভ আর ক্ষমতার দম্ভে। দেবী দুর্গা আসলে সেই শক্তির প্রতীক, যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষকে দাঁড়াতে শেখায়। কিন্তু আমরা যদি ভীরুতায় মাথা নত করি, তবে দেবী আমাদের অন্তরে প্রবেশ করেন না।

Manual1 Ad Code

সুতরাং দুর্গাপূজা হোক আত্মসমীক্ষার উপলক্ষ। মায়ের আরাধনা হোক কেবল প্রতিমার সামনে প্রদীপ জ্বালানো নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শপথ। পূজা হোক হৃদয়ের অন্তঃস্থলে দেবী শক্তিকে জাগিয়ে তোলার নাম।

তবেই প্রতিমার সঙ্গে দেবীও আসবেন। তবেই অসুরও মরবে।
#

Manual2 Ad Code

রূপালী রায়।

Manual7 Ad Code

 

Manual6 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code