লক্ষ্মীপুরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

Manual2 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | লক্ষ্মীপুর | ১২ অক্টোবর ২০২৫ : সারাদেশের মতো লক্ষ্মীপুরেও আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন–২০২৫”। শিশুমৃত্যু ও সংক্রমণজনিত জটিলতা রোধে জাতীয় এই কর্মসূচির লক্ষ্য দেশের প্রায় ৫ কোটি শিশুকে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা।

শনিবার (১২ অক্টোবর ২০২৫) সকালে লক্ষ্মীপুর কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেলা পর্যায়ে টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবু হাসান শাহীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সম্রাট খিসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. মোস্তফা মাহতাব ত্বহা, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ নবির উদ্দিন ও ডা. নাহিদ রায়হান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মুহাম্মদ আবদুল্লা হিল হাকিম, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব ও জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহেদী হাসান রাসেল সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের অন্যান্য প্রতিনিধি।

Manual4 Ad Code

প্রধান অতিথি মো. জসীম উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৮ হাজার মানুষ মারা যায়—এদের ৬৮ শতাংশই শিশু। এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে সরকার সারা দেশে ৫ কোটি শিশুকে এক ডোজ টাইফয়েড টিকার আওতায় আনছে। লক্ষ্মীপুরে এর অংশ হিসেবে ৬ লাখ ২৯ হাজার ৯৭৮ জন ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোর এই টিকা পাবে।”

Manual8 Ad Code

তিনি আরও বলেন, “টিকাদান কর্মসূচি শুধু স্বাস্থ্য বিভাগের নয়—এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। যেন কোনো শিশু এই টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ না পড়ে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। জীবিকার চেয়ে জীবন বড়—শিশুর টিকা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হাসান শাহীন বলেন, “জেলায় মোট ৬ লাখ ২৯ হাজার ৯৭৮ জন শিশুকে টিকার আওতায় আনা হবে। এর মধ্যে ২৪৫৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ লাখ ১৬ হাজার ৭১২ জন শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটি পর্যায়ের ২ লাখ ১৩ হাজার ২৬৬ জন শিশু টিকা পাবে।”

অনুষ্ঠানের শেষে স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে এই টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

Manual8 Ad Code

 

Manual4 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code