সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২০
|| হাসিবুর বাশার হামিদ || ঢাকা, ০৯ অাগস্ট ২০২০ : জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (০৮ আগস্ট) গণভবনে জয়ীতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘জয়তু বঙ্গমাতা’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মদিনের স্মারক প্রকাশনাটির মুখবন্ধ লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বইটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর ইয়াসিন কবীর জয়। প্রকাশনা কার্যক্রমে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়ে বইটিকে ঋদ্ধ করেছেন মো. মজিবুর রহমান। প্রচ্ছদ ও গ্রন্থপরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ।
‘জয়তু বঙ্গমাতা’ গ্রন্থটিতে বঙ্গমাতার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার প্রয়াস রয়েছে।মার্জিত ও রুচিসম্মত প্রকাশনাটির ১১৬ পৃষ্ঠার কলেবরে বঙ্গমাতাকে নিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মৃতিচারণায় সন্নিবেশিত হয়েছে শতাধিক সংবাদচিত্র, যার বেশিরভাগই দুর্লভ।মুখবন্ধসহ নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ১২টি লেখা রয়েছে গ্রন্থটিতে। বঙ্গমাতাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, নীলিমা ইব্রাহিম, বেবী মওদুদ, এবিএম মূসা, মমতাজ লতিফ ও আমিনুল হক বাদশা।
বঙ্গমাতাকে বহুকৌণিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মূল্যায়ন করার প্রয়াস রয়েছে এসব লেখায়। একইসঙ্গে রয়েছে একান্ত পারিবারিক নানা মুহূর্তের কথা। জাতির পিতার পরিবারের বহু অজানা তথ্যের পাশাপাশি তৎকালীন রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতিরও একটি নির্ভরযোগ্য তথ্যবহুল চিত্র এই রচনাগুলোতে উঠে এসেছে।
বেগম ফজিলাতুন নেছা রেনু ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট ফরিদপুর জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তিনি ছিলেন যেন এক আত্মা। বাংলাদেশের ইতিহাসের পলাবদলের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহে তাৎপর্যময় ভূমিকা রেখেছেন বেগম মুজিব। কখনো প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন, কখনো পরোক্ষভাবে উপদেশ, পরামর্শ, নানা ধরনের সহযোগিতা-সমর্থনে যুক্ত থেকেছেন সমকালীন ঘটনাপরম্পরার সঙ্গে। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি উৎসর্গ করেছিলেন নিজের স্বামীকেও। কিন্তু ইতিহাসের পাদপ্রদীপের আলোয় সেভাবে উদ্ভাসিত হননি তিনি। চিরকাল নেপথ্যেই থেকে গেছেন। নীরবে-নিভৃতে কাজ করে গেছেন কোনো পুরস্কার, কোনো স্বীকৃতির প্রত্যাশা না করে। এই মহিয়সী নারীর যাপিত জীবনের নানা অজানা দিক তুলে ধরার চেষ্টা রয়েছে বইটিতে।
স্নেহময়ী মাকে নিয়ে লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। সংকলিত লেখা দুটিতে বঙ্গমাতার এক অনন্য পরিচয় পাওয়া যায়, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সংসার সামলানোর পাশাপাশি দল পরিচালনা করেন সমান দক্ষতায়।
শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহিমের লেখাটিতে পাওয়া যাবে অনেক চমকপ্রদ অজানা তথ্য। সাংবাদিক ও সাহিত্যিক বেবী মওদুদ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর জীবনে কত গভীর ছিল তাঁর স্ত্রীর ভূমিকা সেই প্রসঙ্গে। বঙ্গমাতার অবদানের মূল্যায়ন রয়েছে প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসার লেখায়। মমতাজ লতিফ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার নেপথ্যে বেগম মুজিবের ত্যাগ ও প্রেরণা প্রসঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গমাতার ভূমিকার বিষয়টি উঠে এসেছে আমিনুল হক বাদশার লেখায়। এ ছাড়া ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে বঙ্গবন্ধু সহধর্মিনীর যে স্মৃতিচারণা করেছেন এবং যেভাবে তাঁর মূল্যায়ন করেছেন, সেই অংশগুলো একসঙ্গে এনে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধুর জবানিতে তাঁর সহধর্মিণী’ শিরোনামে।
বইটিতে ব্যবহৃত শতাধিক আলোকচিত্র বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ছবি যাঁরা তুলেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গোলাম মাওলা, কামরুল হুদা, আলহাজ জহিরুল হক, মোহাম্মদ আলম, লুৎফর রহমান ও পাভেল রহমান। ইতিহাসের স্বাক্ষী এই আলোকচিত্রীদের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জানাই সম্মান। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক প্রকাশিত ‘জাতির জনক’ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ গ্রন্থ
ও পারিবারিক অ্যালবাম থেকে নেয়া হয়েছে কিছু আলোকচিত্র।
বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মদিনের স্মারক প্রকাশনা ‘জয়তু বঙ্গমাতা’ পাওয়া যাবে জয়ীতা প্রকাশনীর ২০/২১ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কার্যালয়ে। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৬০০ টাকা।
হাসিবুর বাশার হামিদ
জয়ীতা প্রকাশনী
01842002848
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D