জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জোরদার পদক্ষেপ নেবার তাগিদ

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২০

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জোরদার পদক্ষেপ নেবার তাগিদ

আদর্শ বার্তা ডেস্ক :

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মানবজাতির জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো। এই সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত, এই বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি ও পদক্ষেপ সম্পর্কিত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইউবি’র আইসিসিসিএডি’র পরিচালক অধ্যাপক সালিমুল হক। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেহেতু বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি হুমকিতে রয়েছে, তাই এ বিষয়ে উচ্চমানের গবেষণা এবং পাঠ্যক্রমের ওপর জোর দেন তিনি।

সেমিনারে ডিএফআইডি-বাংলাদেশের প্রধান মিস জুডিথ হার্ভার্টসন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবতর্ন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুল কাদির তাদের বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন এবং কপ-২৬ সম্পর্কে বাস্তবায়নযোগ্য নানা পরামর্শ তুলে ধরেন।

আইইউবি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জনাব এ মতিন চৌধুরী এবং ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন কার্যকর গবেষণা কাজে সব ধরণের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে এর সামাজিক প্রভাব বিশেষ করে আর্থ-সামাজিক, নারীর ওপর প্রভাব এবং সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষমতার দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন জুডিথ হার্ভার্টসন।

অন্যান্য দেশের সহায়তার ওপর নির্ভর না করে বাংলাদেশকে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন সুদীপ্ত মুখার্জি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ