ঈদের আগেই কর্মহীন গণপরিবহন শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করুন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত: ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০

ঈদের আগেই কর্মহীন গণপরিবহন শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করুন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

Manual7 Ad Code

সৈয়দ নোমান অাজমী, ঢাকা, ১৯ মে ২০২০ : করোনা মহামারীতে কর্মহীন গণপরিবহন শ্রমিকদের মানবেতর জীবন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঈদের আগেই তাদের অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২৬ মার্চ থেকে সকল যাত্রীবাহী গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে প্রায় ৪৫ লক্ষ কর্মহীন পরিবহন শ্রমিক পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই চরম দুর্দিনে তারা পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না। কোনো নেতা তাদের পাশে দাঁড়াননি। শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নামে এতদিন শ্রমিকদের নিকট থেকে নিয়মিত যে চাঁদা নেয়া হয়েছে সেই তহবিলের কোনো খোঁজ নেই। আসলে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল নামে কোনো তহবিলই নেই।

Manual5 Ad Code

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে নিবন্ধিত বাণিজ্যিক যানবাহন ৮ লক্ষের বেশি। এর মধ্যে বাস-মিনিবাস প্রায় ৮০ হাজার। ৮ লক্ষ বাণিজ্যিক যানবাহনের প্রতিটি থেকে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নামে ঘোষণা দিয়ে দিনে ৭০ টাকা চাঁদা তোলা হয়। যার ৪০ টাকা মালিক সমিতি এবং ৩০ টাকা শ্রমিক সংগঠন পায়। এই হিসাবে বছরে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় হয়। ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে গেট পাশ (জিপি) নামে এক ধরনের চাঁদা তোলা হয়। আবার কেউ নতুন বাস নামাতে চাইলে তাকে মালিক সমিতিকে মোটা অংকের অনুদান দিতে হয়। এর বাইরে অঘোষিত চাঁদার তো হিসাব নেই। মূলত বিভিন্ন নামে আদায় করা এসব চাঁদা দিন শেষে মালিক-শ্রমিক নেতাদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে যায়। শ্রমিকদের কোনো কল্যাণে আসে না। অথচ পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী হন, এমপি-মন্ত্রী হন। বিত্ত-বৈভবের মালিক হন। তারা শ্রমিকদের পেশাগত উন্নয়নের বিষয়েও তেমন আন্তরিক নন। মালিক-শ্রমিকদের কিছু নেতা চাঁদাবাজির স্বার্থে গণপরিবহন খাতে নৈরাজ্য বজায় রাখতে ভূমিকা রাখেন। তারা গণপরিবহনে সরকারের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার অনেক উদ্যোগ নস্যাৎ করেন।

Manual6 Ad Code

নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে ত্রাণের দাবিতে, গণপরিবহন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। অনুন্নত কর্মপরিবেশের কারণে গণপরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ ও অপরাধ প্রবণ। এর উপর এভাবে অভূক্ত থাকলে তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে, যা সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাড়তি হুমকি তৈরি করবে। এই বাস্তবতা এবং মানবিক বিবেচনায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ ঈদের আগেই দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের তালিকা করে তাদের অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার এবং মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
করোনা মহামারীতে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতসহ গণপরিবহনের কর্মহীন শ্রমিকদের মানবেতর জীবন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঈদের আগেই তাদের অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের দাবী করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান।

Manual1 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code