গাধা চেয়ার পেয়ে গেলে যা হয়

প্রকাশিত: ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ১, ২০২০

গাধা চেয়ার পেয়ে গেলে যা হয়

ড. এস এ মুতাকাব্বির মাসুদ, ০১ জুন ২০২০ : একটি কলেজের শিক্ষকরা এই ভয়াবহ “করোনা” কালেও বকেয়া তিনমাসের কলেজ দেয়ো বেতন- বোনাস বঞ্চিত! হবেই না কেন?

গাধা দিয়ে তো আর প্রতিষ্ঠান চলে না! ( সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য তা প্রযোজ্য নয়)
গাধা চেয়ার পেয়ে গেলে সে নিজেও সমস্যায় পড়ে, অন্যদেরকেও সমস্যায় ফেলে!
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য! কতিপয় মেধাশুন্য অযোগ্য -চাটুকার অসামাজিক গাধা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে না! আমাদের কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন এমন-ই গাধাদের দখলে! আজ তিন মাস হলো আমরা একটি কলেজের সকল শিক্ষক – এই ভয়াবহ “করোনা” সংকটের মধ্যে কলেজ দেয়ো বেতন ও বোনাস থেকে বঞ্চিত হয়ে দারুণ অর্থ-সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। ( সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য তা প্রযোজ্য নয়) কিন্তু বিষয়টি দেখার কেউ নেই! কর্তৃপক্ষ যেমন উদাসীন তেমনি গাধাসম প্রতিষ্ঠান প্রধানগুলোও উদাসীন! ওদের কোনো সমস্যা নেই ; ওরা বেশুমার তৈল মেরে জীবীকা নির্বাহ করে। তাঁদের কোনো অর্থসংকট নেই। ওরা ক্ষমতায় থাকার জন্য ঐ চেয়ারের পায়ে ধরে নির্লজ্জের মতো রোজ কান্নাকাটি করে-উপরমহলের পা চাটে টিকে থাকার জন্য। স্বভাবপ্রকৃতিতে ওরা ব্যক্তিত্বহীন ছাগলের মতো। ওদেরক গাধা বললে গাধারাও লজ্জা পায়। সমস্যা কেবল আমাদের। নীতি- নৈতিকতার মধ্যে থেকে আত্মমর্যাদাকে সমুন্নত রেখে চলতে যেয়ে আমরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছি আমাদের ন্যায্য পাওনা থেকে!
জীবন বাস্তবতায় এহেন পরিবেশ ও “করোনা” প্রেক্ষিত বিবেচনায় এই মহা সংকটে আমরা একটি কলেজ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক দারিদ্র্য আর ভয়াবহ অর্থ-সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। মানবিক বিবেচনায় বিষয়টি এ ধারার কলেজ কর্তৃপক্ষের / কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সুবিবেচনায় নিয়ে যথাযথ তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে একটি কলেজের সকল শিক্ষকদের দুর্বিষহ জীবনে ন্যূনতম স্বস্তি ফিরিয়ে দেয়া হোক।
ফিরিয়ে দেয়া হোক তাঁদের বিগত তিন মাসের
বকেয়া বেতন-বোনাস। অন্যথায় এই ভয়াবহ সংকটে নিপতিত নির্যাতিত শিক্ষকরাও টিকে থাকার লক্ষ্যে নিজ নিজ পরিবার- পরিজনদের প্রয়োজনে মানবিক কারণেই তাঁদের টিকে থাকার প্রশ্নে সুচিন্তিত অবস্থান পরিষ্কার করতে বাধ্য হবে। অবিলম্বে এ ধারার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রযোজ্য – সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য নয়) অকর্মা গাধাদের অপসারণ করে যোগ্য- মেধাবী প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ দিয়ে উদ্ভুত সমস্যার যৌক্তিক সমাধান করা হোক। নতুবা এ ধরনের অথর্ব গাধাদের দৌরাত্ম্যে একদিন ঐতিহ্যবাহী মেধাবী প্রতিষ্ঠানগুলোর ধ্বংস অনিবার্য হয়ে ওঠবে !

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ