পাটকল রক্ষায় দেশজুড়ে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২০

পাটকল রক্ষায় দেশজুড়ে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের বিক্ষোভ

জগদীশ রবিদাস, ঢাকা, ০২ জুলাই ২০২০ : রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, কথিত গোল্ডেন হ্যান্ডশেক প্রক্রিয়ায় শ্রমিক বিদায়ের ঘোষণা বাতিল, ‘পিপিপি’র আওতায় পাট শিল্পের সম্পদ লুটেরাদের হাতে তুলে দেয়ার পায়তারা বন্ধের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন।

বুধবার (১ জুলাই) দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়।

কেন্দ্রীয় কমিটি

পাটকল রক্ষার দাবিতে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কামরুল আহসান। সমাবেশে বক্তব্য ও ঘোষণা পাঠ করেন- ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন।

সমাবেশে পাটকল বন্ধ করার সরকারি সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, পাটমন্ত্রী লোকশানের কথা বলে; শ্রমিকদের উপর তার দায় চাপিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। অথচ লোকশানের জন্য দায়ি বিজেএমসি নামক মাথাভারী প্রশাসন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা- যারা পাট ক্রয়ে দুর্নীতি, মৌসুমে পাট সরবরাহে অনিয়ম, অসময়ে বেশি দামে পাট ক্রয় এবং উৎপাদিত পাট পন্য বিপননে ব্যর্থতা দেখিয়েছে; তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

বক্তারা আরও বলেন, পাট চাষ ও পাট শিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্য, বাংলাদেশের ব্রান্ড। দেশের ৪৫ লাখ কৃষক পাট চাষের সাথে যুক্ত, পাট ও পাট শিল্পের সাথে ৪ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের আন্দোলনের সাথে পাট ও পাট শিল্প অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। পাটকল বন্ধ হলে পাট সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে।

এ সময় ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পাট শিল্পকে লাভজনক করার জন্য সরকারি উদ্যোগে পুরানো যন্ত্রের বদলে আধুনিক ও উন্নতমানের প্রযুক্তি সংযোজনের দাবি জানান। এতে তারা ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন- ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার আলী, করিম জুট মিল লেবার ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোঃ জেল হোসেন, সদস্য মকবুল হোসেন।

সমাবেশে সংহতি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন, ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন শাহানা ফেরদৌসি লাকী।

রাজশাহী

পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে বেতন ভাতা পরিশোধ এবং পাট শিল্পকে আধুনিকায়নের দাবিতে রাজশাহীতেও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন রাজশাহী জেলার সভাপতি অ্যাড. ফেরদৌস জামিল টুটুল।

শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘণ্টাব্যাপী চলা বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, পাট এবং পাটকল বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত। স্বাধীনতার পর দেশে মোট ৭৭টি পাটকল ছিল। গত ৪৯ বছরে শাসক শ্রেণির দুর্নীতি ও বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের পরামর্শে গৃহীত ভুলনীতির ফলে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজীসহ প্রায় ৫০টির বেশি পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ সারা দুনিয়ায় এখন পলিথিনসহ কেমিক্যাল দ্রব্য বর্জনের ফলে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার ও চাহিদা বাড়লেও বাংলাদেশে অবস্থিত পাটকলগুলোও বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করেনি। এতে হাজার হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার বেকার হয়ে যাবে। শ্রমিকদের জীবন অচল করে অর্থনীতি সচল করা সম্ভব না। ফলে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পাটকল বন্ধ না করে ১২শ’ কোটি টাকা দিয়ে আধুনিকায়ন করার দাবি জানান তারা।

সমাবেশে বক্তব্য দেন- রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, নগর সম্পাদকমণ্ডলির সমস্য আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মতিন, মনিরুদ্দিন পান্না, মনিরুজ্জামান মনির। সমাবেশ পরিচালনা করেন- ফেডারেশনের রাজশাহী জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল করিম অপু।

চট্টগ্রাম

রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার ‍দুপুরে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে এই কর্মসূচি থেকেও পাটকল বন্ধ ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করে আধুনিকায়নের জন্য সরকারি পাটকলগুলোতে কমপক্ষে ১২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং লোকসানের জন্য দায়ী বিজেএমসির ‘দুর্নীতিবাজ’ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

‘পাটকল বন্ধ নয়, শ্রমিক ছাঁটাই নয়’- এই স্লোগান নিয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যুদয় সংগ্রামের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ পাট ও পাটকল। নির্বাচনী ঘোষণায় বন্ধ থাকা পাটকল চালুর কথা বলা হলেও এখন উল্টো পাটকল বন্ধ করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

“গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে যে প্রহসনের কথা বলা হচ্ছে তা আদমজীসহ কোথাও অতীতে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। এই মহামারীকালে শ্রমিকদের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত অমানবিক। পাটকলগুলোতে লসের জন্য যেই কর্মকর্তারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুন করে বিনিয়োগের মাধ্যমে পাটকলগুলোতে আধুনিকায়ন করা হলে সবগুলোই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।”

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, “পাট ক্রয়ে ‍দুর্নীতি, মৌসুমে পাট সরবরাহে অনিয়ম, অসময়ে বেশি দামে পাট ক্রয়, উৎপাদিত পাটপণ্য বিক্রয়ে ব্যর্থতা বিজেএমসির মাথাভারী প্রশাসনের। পাটকল শ্রমিক ছাঁটাই নয়, বিজেএমসির মাথাভারী প্রশাসন ছাঁটাই করা জরুরি।

“দুর্নীতি, লুটপাট ও ভুল নীতির দায় পাটকল শ্রমিকরা নেবে না। উন্নত আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের জন্য ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলে পাটশিল্প আবার বিকশিত হবে।”

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমিন পাটকল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল, হাফিজ জুটমিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন সভাপতি নূর মোহাম্মদ মিলন প্রমুখ।

সিলেট

করোনা মহামারীতে জাতীর এই ক্রান্তিলগ্নে শ্রমিকদের মুখে লাথি মেরে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ছাটাই এবং রাষ্ট্রের প্রতিটি খাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একইসাথে সিলেটেও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১লা জুলাই) বিকেল ৩টায় সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সভাপতি সিকান্দার আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আনোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন – কোভিড ১৯ করোনা বিশ্বব্যাপি এক মহামারী, মহাদূর্যোগের নাম। অতিতে অর্থ মন্দার ফলে দূর্ভিক্ষ, বন্যা, খরাসহ নানান প্রাকৃতিক দূর্যোগের প্রান নাশ, জীবন্যাত্রায় লাগবহীন ক্ষতি হলেও মরনঘাতী এমন ভাইরাসের সংক্রমনের ফলে বিশ্বব্যাপি লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত ও প্রতিদিনের মৃত্যুর মিছিল এবারই প্রথম বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। অথচ আজও কোনো দেশ রাষ্ট্রায়ত্ব কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা দেয়নি, বরং আরো চালুর ব্যাপারে ব্যাপক পরিসরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত ও বাজেট দিচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি বান্ধব দেশ, এদেশের প্রায় পাচঁ একাংশ মানুষ পাঠ চাষ, উৎপাদন শিল্প, বাজারজাতকরণ, এবং রপ্তানি কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। দেশে আজ পাঠের সোনালী ফলনের মুখ দেখার কথা অথচ সরকারের কিছু দুর্নীতিবাজদের কারণে কৃষক তার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না, রাষ্ট্র তার সঠিক রাজস্ব থেকে বঞ্চিত এবং শিল্প কারখানা আজ ক্ষতিগ্রস্ত এবং শ্রমিকেরা তাদের সঠিক মজুরি পায়না। এমতাবস্থায় সরকার ও পাটমন্ত্রীর কিভাবে শ্রমিকের অধিকার আদায় না করে তাদের মুখে লাথি মেরে ২৬টি পাটকল রাষ্ট্রায়ত্ত থেকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন?

কাজেই জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন মনে করে পুনরায় রাষ্ট্রায়ত্ব সবগুলো পাটকলসহ সকল কলকারখানা যোগ্য ও সঠিক ব্যক্তি দ্বারা পরিচালনা করে অচিরেই শ্রমিকদের দাবি মেনে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রাণী সেন সম্পা, দীনবন্ধু পাল, হিমাংসু মিত্র, আবদুল্লাহ খোকন, আলমগীর হোসেন রুমেল, মহীতোষ চৌধুরী প্রসাদ, অজিত দেবনাথ, ছাত্র মৈত্রী সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা চৌধুরী, আলিফ আহমেদ।

খুলনা

রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ সরকারি সিদ্ধান্ত প্রতিবাদে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী খুলনা জেলা কমিটির উদ্যোগে বিক্ষাভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার উদ্দিন দিলু। প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপঙ্কর দীপু।

সমাবেশ বক্তারা বলেন, সরকারি পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে অন্যথায় জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিকদের নিয়ে পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন করবে। পাটকল বন্ধ সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি থেকে পিছু হটছে। সরকারকে আমরা বলতে চাই, অনতিবিলম্বে পাটকল গুলো চালু রাখুন বাংলাদেশের শ্রমিকের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে।

সমাবেশ বক্তব্য রাখেন- মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফারুকুল ইসলাম ,জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রমিক নেতা খলিলুর রহমান ,নারায়ণ সাহা ,আব্দুস সাত্তার মোল্লা ,আমিনুর ইসলাম ,হাফিজুর রহমান ,হান্নান শেখ, হারুন-অর-রশিদ , রেছফা, যুবমৈত্রীর নেতা খায়রুল বাশার প্রমুখ।

নীলফামারীর সৈয়দপুর

দেশের সরকারি ২৬টি পাটকল বন্ধ ও পরবর্তীতে পিপিপি’র আওতায় চালুকরণের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

বুধবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে ওয়ার্কার্স পার্টির নীলফামারী জেলা শাখার সম্পাদক আবিদ হোসেনসহ সৈয়দপুর উপজেলা শাখা এবং সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, যুবমৈত্রী, ছাত্রমৈত্রীর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলোর বিপুল সম্পদ ও জমিতে অনেকের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। এসব রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করতে লুটপাটকারীরা মুখিয়ে আছে। পিপিপির নামে এ সম্পদ লুটের চক্রান্ত চলছে।

যখন মৌসুমে ১২০০ টাকা মণ দরে কাঁচা পাট কেনার কথা তখন বিজেএমসির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা পাট কেনে না। যখন মণ ৩০০০ টাকা হয় তখন তারা পাট কেনে। তাদের লুটপাটের দায় শ্রমিকরা কেন নেবে? যাদের জন্য পাটশিল্প লোকসানি খাতে পরিণত হলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পাটকল বন্ধ করে কথিত গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে শ্রমিকদের বিদায় করা অন্যায়। এ সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পাটকল বন্ধের পায়তারা থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য রুহুল আলম মাস্টার, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা শেখ ফজলুল হক, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের নীলফামারী জেলা কমিটির আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন, যুবমৈত্রী নেতা মাহামুদুল হাসান তনুজ প্রমূখ। সমাবেশটি পরিচালনা করেন পার্টির জেলা কমিটির সদস্য কমরেড ওবায়দুর রহমান।

এসব অঞ্চল ছাড়াও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে খুলনার যশোর রোডে, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে, মৌলভীবাজারের কৃষি ফার্মে ও শ্রীমঙ্গলে, রংপুরের কৃষিফার্ম চত্বরে, গাজীপুরের জেলা সদর প্রেসক্লাবের সামনে পাটকল রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়।