গণপরিবহনের ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে পূর্বের ভাড়া বহাল করুন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত: ১:৩৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২০

গণপরিবহনের ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে পূর্বের ভাড়া বহাল করুন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

ঢাকা, ১২ অাগস্ট ২০২০: জনস্বার্থে গণপরিবহনের ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে পূর্বের ভাড়া বহালের দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ প্রচেষ্টার এক ভিন্নতর প্রেক্ষাপটে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালানোর শর্তে ৬০ শতাংশ পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করেছিল। ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে তখন যুক্তি দেয়া হয়েছিল, “সাধারণ মানুষের অতীব প্রয়োজনীয় চলাচল ব্যবস্থা সচল রাখা এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আর্থিক দুরবস্থা বিবেচনা করে এটি করা হচ্ছে।” যদিও শুরু থেকেই অনেক গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধির নিয়মসমূহ মানেনি। এরই ধারাবাহিকতায় পরিস্থিতি এখন দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে অধিকাংশ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। যেসব শর্ত অনুসরণ করে বর্ধিত ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয়েছিল- তার কোনোটিই মানা হচ্ছে না। গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এমনকি সরকারের বর্ধিত ৬০ শতাংশের বেশি ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে অনেক রুটে, বহু পরিবহনে। ফলে করোনা সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়া ও আয়-রোজগার কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। এদিকে করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও সরকার অফিস-আদালত পুরোমাত্রায় খুলে দিয়েছে। বন্ধ থাকা দোকান-বিপণিবিতান, ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হয়েছে। ফলে মানুষকে প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে। গণপরিবহনও ক্রমেই নৈরাজ্যকর সেই পুরানো চেহারাই ফিরছে! এই অবস্থায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করা অল্প আয়ের কর্মজীবী- শ্রমজীবী মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনতর পরিস্থিতিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা নিজ বিবেচনা থেকে বর্ধিত ভাড়া কমাবেন বলে মনে হচ্ছে না, বরং তারা সরকারকে পূর্বের ন্যয় ফাঁদে ফেলে ভাড়া নৈরাজ্য অব্যাহত রাখবেন বলে আমাদের আশংকা। আমরা সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনসমূহ এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির ভয়ে শুরুতেই সরকারের একতরফা ভাড়া বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছিলাম। যদিও সরকার তা আমলে নেয়নি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জনস্বার্থে ও মানবিক বিবেচনায় অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মানার নামে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে পূর্বের ভাড়া বহাল রাখতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে “সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮” পুরোমাত্রায় বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন।

জনস্বার্থে ও মানবিক বিবেচনায় অবিলম্বে গণপরিবহনের ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে পূর্বের ভাড়া বহাল রাখতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান।