আয়শা সিদ্দিকার মৎস কন্যা হয়ে উঠার গল্প

প্রকাশিত: ১:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০

আয়শা সিদ্দিকার মৎস কন্যা হয়ে উঠার গল্প

Manual7 Ad Code

খুলনা, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ : খুলনায় জন্ম ও বেড়ে উঠা আয়শা সিদ্দিকার। এমবিএ শেষ করেন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং এ। বাবা পেশায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আর মা গৃহিণী। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বিদেশি ২ টি ব্যাংকে চাকরির পর গার্মেন্টস এক্সসরিজের মাধ্যমে পদার্পণ করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে। দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ গার্মেন্টস সেক্টরে রয়েছে নিজের ব্যবসা। আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তালমিলিয়ে ফিসঢাকা ডটকমের মাধ্যমে প্রবেশ করেন ই-কমার্স সেক্টরে।

উদ্যোক্তা হওয়ার শুরু গল্পটা জানতে চাই।
ছোটবেলা থেকেই ছিল ব্যবসার প্রতি প্রবল আগ্রহ। ৬ বছর গার্মেন্টস এক্সসরিজে সুনামের সাথে ব্যবসা করে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বুঝতে পেরেছি। ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর উপদেষ্টা এবং সার্চ ইংলিশের প্রতিষ্ঠাতা রাজিব আহমেদের পরামর্শে নিজেকে পরিচিত করেছি। ৮ জানুয়ারী ২০২০ ঢাকার গ্রীন রোড ও ধানমণ্ডিতে দক্ষিণ বঙ্গের মাছ নিজে ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে শুরু করেছি ফিসঢাকা ডটকম। ”ফিসঢাকা ডটকম” নামটি রাজিব আহমেদ ভাইয়ের দেওয়া।

Manual7 Ad Code

ফিসঢাকা শুরু গল্পটা জানতে চাই

আমি খুলনার মেয়ে, মাছের ভিতর দিয়ে আমার বেড়ে ওঠা। উই গ্রুপে পোস্ট দিয়ে জানতে পারি, আঞ্চলিক সব মাছের সাথে মানুষ পরিচিত নয়। আর এটাই ছিল আমার শক্তি। পয়তাল্লিশ হাজার টাকা মূলধন দিয়ে শুরু করেছি, তবে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিনিয়োগ। বাবার সাপোর্ট দারুণ ভাবে ভূমিকা রাখছে আমার পথচলায়।

ফিসঢাকা নিয়ে আপনার স্বপ্ন কি?

মাছের বাজারে গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ সময়ের অপচয় রোধ করতে আমরা কাজ করছি। সবাই আঞ্চলিক মাছ গুলো চিনবে, স্বাদ নিতে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে হাতের নাগালে পাবে, আমাদের সাজেশন করা ম্যানু গুলো সহায়ক হবে তাদের খাবারে। ঝামেলা বিহীন মাছ কেনাকাটায় পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকবে ফিসঢাকা ডটকম। দক্ষিণ বঙ্গের আঞ্চলিক ও ফরমালিনমুক্ত মাছ প্রতিটি বাড়ির খাবার টেবিলে পৌঁছে দেওয়া আমার স্বপ্ন।

Manual7 Ad Code

ই-কমার্স ব্যবসায় চ্যালেঞ্জ গুলো কি কি?

ব্যবসার প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে চ্যালেঞ্জ। কাঁচা মাছ দক্ষিণ বঙ্গ থেকে এনে নির্ধারিত প্যাকেজিং এর পর ক্রেতার হাতে পৌছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে রয়েছে ফ্রেশ মাছের চ্যালেঞ্জ। মাছ ডেলিভারিতে তৃতীয় পক্ষের সাপোর্ট না পাওয়ায় নিজস্ব কর্মীদের মাধ্যমে ডেলিভারি, ক্রেতার হাতে ফ্রেশ মাছ পৌছাতে ব্যর্থ হলে পুনরায় মাছ দেওয়া। নারী হয়ে রাত ৪-৫ টায় মাছ রিসিভ করা ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ গুলোর মুখোমুখি হয়েছি এবং ওভারকাম করেছি।

Manual5 Ad Code

ক্যারিয়ারে উই এর ভূমিকা ?

আমার জানা মতে নারী হিসেবে আমি দেশের প্রথম মাছ ব্যবসায়ী ই-কমার্সে। এটা আমার জন্য গর্বের ও চ্যালেঞ্জের। এ ভিন্ন পরিচয় তৈরিতে উইয়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। গ্রুপে আমাকে সবাই মৎস কন্যা নামে ডাকে। এতে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি। ই-কমার্স নিয়ে জানাশোনার প্রথম ও একমাত্র প্লাটফর্ম উই। ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে আন্তর্জাতিক কোর্স, হাইটেক পার্কের অধীনে ট্রেনিং, মাস্টার ক্লাস সহ বহু সুযোগ করে দিয়েছে উই। আমার গ্রাহকদের সিংহভাগ এ গ্রুপ থেকে। এখন পর্যন্ত গ্রুপ থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি বিক্রি হয়েছে। উইয়ের প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা, উপদেষ্টা রাজিব আহমেদ, সকল কাস্টমার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে কৃতজ্ঞতা।

Manual7 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code