ইউনেস্কো কর্তৃক ৭ মার্চের ভাষণসংক্রান্ত স্বীকৃতির স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত

প্রকাশিত: ৯:১১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২০

ইউনেস্কো কর্তৃক ৭ মার্চের ভাষণসংক্রান্ত স্বীকৃতির স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত

Manual1 Ad Code

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর ২০২০ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো কর্তৃক “বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’র” অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় ডাক অধিদপ্তর প্রতিটি দশটাকা মূল্যমানের দুটি স্মারক ডাকটিকেট সম্বনয়ে ত্রিশটাকা মূল্যমানের একটি স্যুভেনির শীট অবমুক্ত করেছে। এছাড়াও এ উপলক্ষ্যে দশটাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম এবং পাঁচটাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড প্রকাশ করা হয়েছে।

Manual7 Ad Code

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুক্রবার তার দপ্তর থেকে স্মারক ডাকটিকেট সমন্বয়ে স্যুভেনির ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং ও ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছেন। এ উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ সীলমোহর ব্যবহার করা হয।

Manual6 Ad Code

এ উপলক্ষ্যে মন্ত্রী বলেন, হাজারবছরের পরাধীনতা থেকে জাতির মুক্তির ইতিহাসের চূড়ান্ত অভিযাত্রায় ঘটনাবহুল ১৮ মিনিটের ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়- মুক্তির ঐতিহাসিক সোপান। ভাষণটির কোনো লিখিত পান্ডুলিপি ছিল না। এই ভাষণ ছিল স্বাধীনতাসংগ্রামের পরিপূর্ণ এক দিকনির্দেশনা – ঐতিহাসিক ঘোষণা, যেখানে তিনি বলেছেন:

Manual2 Ad Code

“…. সাতকোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। ….. প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে…. মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ “মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার”এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। “মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার” ইউনেস্কো কর্তৃক পরিচালিত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক ঐতিহ্যের একটি তালিকা। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকেই সম্মান এনে দেয়নি, সমগ্র দেশ ও জাতিকেও সম্মান এনে দিয়েছে। ভাষণটি সম্পর্কে ইউনেস্কো তাঁর ভূমিকায় লিখেছে: “ভাষণটি কার্যকরভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিল। উত্তর-ঔপনিবেশিক সাম্প্রদায়িক (অনেক কিছু বা সবকিছুসহ) গণতান্ত্রিক সমাজ পূর্ণতর করতে পারার ব্যর্থতা কীভাবে তাদের দেশে বসবাসরত জনসমষ্টির অংশস্বরূপ হওয়া পৃথক (ভিন্নতর) নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক, ভাষা অথবা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে (দল, উপদল, শ্রেণী, শাখা) বিরূপ ও বৈরী করে, ভাষণটি সেটির বিশ্বস্ত উপস্হাপন করে যাচ্ছে।”

উল্লেখ্য, স্মারক ডাকটিকেট সম্বনয়ে স্যুভেনির শীট ও উদ্বোধনী খাম ৩০ অক্টোবর ঢাকা জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকেট ও ডাটাকার্ড বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে।

Manual8 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ