সিলেট ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ০১ জানুয়ারি ২০২১ : সময় যেন এক প্রবহমান স্রোত ধারা। সময় পাল্টায়, জীবন বদলে যায়, মানুষের অবস্থারও পরিবর্তন ঘটে। অতীত জীবনের পার হওয়া সময়গুলোই মানুষের কাছে একসময় স্মৃতি হিসেবে ধরা দেয়। ক্ষণিকের এ জীবন পর মুহূর্তেই হয়ে যায় স্মৃতি। সময়ের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে এগিয়ে চলে আমাদের জীবন। এজন্য বলা হয়েছে যে, “সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না।” সময় যায় মুহূর্তের মধ্যে, আর স্রোত যায় নদীর প্রবাহের আলোড়নের মধ্যে। একে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই একের পর এক পঞ্জিকার পাতা উল্টে চলে যায় দিন, মাস, বছর, যুগের পর যুগ। কালের পরিক্রমায় এভাবেই দিনপঞ্জির পাতা উল্টাতে উল্টাতে দোরগোড়ায় হাজির হলো নতুন আরো একটি বছর। ২০২২ খ্রিস্টাব্দ। শুভ ইংরেজি নববর্ষ!
যেভাবে এসেছে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন
খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দ থেকে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সূচনা হয়েছে। আধুনিক গ্রেগরিয়ান ও জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে ১লা জানুয়ারি থেকে শুরু হয় নতুন বছর। মেসোপটেমিয় সভ্যতা (বর্তমান ইরাক) থেকে প্রথম নববর্ষ উদযাপনের সূচনা হয়।
তবে রোমে নতুন বছর পালনের প্রচলন শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৩ অব্দে। পরে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ অব্দে সম্রাট জুলিয়াস সিজার ‘জুলিয়ান ক্যালেন্ডার’ নামে একটি নতুন বর্ষপঞ্জিকার প্রচলন করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে নিউ ইয়ার পালন শুরু হয় ১৯ শতক থেকে। নতুন বছরের আগের দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর হচ্ছে নিউ ইয়ার ইভ। এদিন নতুন বছরের আগমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।
ইংরেজি নতুন বর্ষ পালনে ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন- ইসরায়েল। দেশটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। তবে ইংরেজি নববর্ষ পালন করে না। কারণ, বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী অ-ইহুদি উৎস হতে উৎপন্ন এই রীতি পালনের বিরোধী।
আবার কিছু দেশ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকেই গ্রহণ করেনি। যেমন- সৌদি আরব, নেপাল, ইরান, ইথিওপিয়া ও আফগানিস্তান। এসব দেশ ইংরেজি নববর্ষ পালন করে না।
বাংলাদেশে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন
রীতি অনুযায়ী জানুয়ারির ১ তারিখে বাংলাদেশে নিউ ইয়ার উদযাপন করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর দিন পেরিয়ে শুণ্য ঘণ্টা থেকে শুরু হয় উৎসব। রাতের এ উৎসবকে বলা হয় ‘ থার্টি ফার্স্ট নাইট ‘।
তবে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের তেমন প্রচলন নেই। গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও এ উৎসব উদযাপন হলেও তা খুবই নগণ্য। কিন্তু বড় শহর ও মফস্বলে এ উৎসবের জনপ্রিয়তা বেশ লক্ষণীয়। তবে বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে বেশকিছু স্থিতিশীলতা রয়েছে এবারের আয়োজনে।
নিউ ইয়ার ‘২০২২’ উদযাপনে বাংলাদেশের প্রস্তুতি
বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশ বাংলাদেশেও চলছে ইংরেজি নতুন বছর ২০২২ উদযাপনের প্রস্তুতি। চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
প্রতিবছর এদেশে নানারকম উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করা হয়। সাধারণ জনতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দল, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন সর্বক্ষেত্রেই নানা রঙয়ে নানা ঢঙয়ে পালিত হয় নিউ ইয়ার।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে একে অপরের সাথে বিনিময় চলে শুভেচ্ছাবার্তা। বিভিন্ন পণ্য ব্যবসায়ীরা এই দিন উপলক্ষে তাদের পণ্যে নানারকম আকর্ষণীয় ছাড় দিয়ে থাকেন ক্রেতাদের জন্য।
নতুন বছর কাটুক সবাইকে নিয়ে সুস্থভাবে। দিনবদলের সাথে তাল মিলিয়ে সকলেই যেন হাঁটতে পারি নতুন আলোর পথে।
আজ মধ্যরাতে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন আশা নিয়ে বরণ করেছে ২০২২ সালকে। করোনাভাইরাস মহামারির ছায়াতেই বিশ্বজুড়ে এবারও কোটি কোটি মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। দুইবছর আগে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বজুড়ে ২৮ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমন শনাক্ত হয়েছে। এপর্যন্ত ৫৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে আবার গত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে করোনার সংক্রমন বাড়ছে। ওমিক্রন নামে করোনার আরএকটি ধরণ ইতোমধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে চলছে। করোনা ডেলটা এবং ওমিক্রনের সংক্রমনের কারণে অনেক দেশ ইংরেজি নববর্ষের উৎসব বাতিল করছে ।
ইংরেজি নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দেশনায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে উন্মুক্ত স্থানে কোন অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে সকল ধরণের অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে নির্ধারিত অনুষ্ঠানসমূহ উদ্যাপন করতে নগরবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় এবং উন্মুক্ত স্থানে কোন ধরণের জমায়েত অথবা সমাবেশ বা উৎসব না করা এবং উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোন ধরণের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোথাও কোন ধরণের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।
রাষ্ট্রপতির বাণী
‘খ্রিষ্টীয় নববর্ষ-২০২২’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিষ্টাব্দ তাই জাতীয় জীবনে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর নববর্ষকে বরণ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন করা হলেও করোনা মহামারির কারণে বিগত বছরের মতো এবারের উৎসবের আমেজও অনেকটাই ম্লান।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে তবে বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে সতর্কতা প্রতিপালনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নববর্ষ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন ।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ এবং ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ বাঙালি জাতির জীবনে ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠান-২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সঙ্গে একযোগে পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে ২০২১ সালের মার্চ মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০-দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করি, যেখানে সার্কভুক্ত ৫টি দেশের রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধানগণ সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানমালায় যোগ দিয়েছিলেন। তাছাড়া বিশ্বের ৭৭টি দেশের রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধানগণ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ ভিডিও বার্তা ও অভিনন্দন পত্র প্রেরণ করেছেন, যেখানে সকলেই আমাদের সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আমাদের সরকারের উদ্যোগে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রাজধানী এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরে জাতির পিতার নামে স্মারক ভাস্কর্য স্থাপন, সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হয়েছে। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সৃজনশীল অর্থনীতিতে আন্তজার্তিক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।’
নববর্ষ মানেই সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া। স্বভাবতই নতুন বছর নিয়ে এবারও মানুষের প্রত্যাশা একটি করোনা মুক্ত বিশ^। তবে, করোনার টিকা ছাড়াও অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনাসহ মানবসম্পদ তৈরির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হচ্ছে গতবছরের মত আগামী বছরের মোটা দাগের চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে, এটাই নতুন ইংরেজি বছরে সবার প্রত্যাশা।
দেশবাসীকে ওয়ার্কার্স পার্টির শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
ইংরেজি নববর্ষ-২০২২’ উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।
দেশবাসীকে সৈয়দ আমিরুজ্জামানের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
ইংরেজি নববর্ষ-২০২২’ উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান।
দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জাসদের
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারন সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক শুভেচ্ছা বার্তায় দেশবাসীকে নতুন বছর ২০২২ এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।বিবৃতিতে তারা আশা প্রকাশ করেন যে ২০২২ সালে বৈজ্ঞানিক আবিস্কার-অভিযানে বৈশ্বিক মহামারি করোনার দাপট কমে আসবে, জগত স্বাভাবিক হবে ও জীবনের জয়গানে মুখরিত হবে। তারা বলেন মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্বের সকল দেশ ও জনগণ মানবিক সমাজ বিনির্মানের পথে এগিয়ে যাবে।
তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন বছরে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির সকল ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত ও মীমাংসিত বিষয় অস্বীকারকারী চিরশত্রু ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী ও জঙ্গবাদী অপশক্তি বিনাশ করে বাংলাদেশ স্থায়ী রাজনৈতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ দুর্নীতি, লুটপাট, গুন্ডাবাজী, ক্ষমতাবাজী ও বৈষম্য মোকাবেলা করে সুশাসন, সমাজতন্ত্র ও সমৃদ্ধির পথ তৈরি করবে।
নতুন বছর ২০২২ এর প্রথমদিনে জাসদের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান
নতুন বছর ২০২২ এর প্রথম দিন, ১লা জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারন সম্পাদক শিরীন আখতারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জাসদ ও সহযোগী সংগঠণসমূহের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সাথে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
অনুরূপভাবে জাসদের সকল জেলা-উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ নতুন বছর ২০২২ এর প্রথম দিনে ১লা জানুয়ারি শনিবার সকাল/বিকাল/সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময়ে স্থানীয় দলীয় কার্যালয় বা অন্য কোন স্থানে জাসদ ও সহযোগী সংগঠনসমুহের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D