শব্দদুষণে আমরা প্রথম হতে চাই না

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২২

শব্দদুষণে আমরা প্রথম হতে চাই না

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঝিনাইদহ, ৩১ মার্চ ২০২২ : শব্দ দূষণ শুধু পরিবেশ ও স্বাস্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়; এটি আর্থিক ক্ষতিও বটে। যখন শব্দ দূষণে আমরা বিশ্বের মধ্যে্ প্রথম হই তখন বিদেশী বিনোয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমরা যখন মধ্যম থেকে উন্নত আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছি, তখন শব্দ দূষণের প্রথম হওয়ার এ খবর আমাদের জন্য নেতিবাচক। তাই আমরা শব্দ দূষণে আমরা প্রথম হতে চাই না। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ ২০২২) সকালে ঝিনাইদহ জেলার জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদফতরের ‘শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প এর আওতায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

ঝিনাইদহ জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী-পরিচালক শ্রীরুপ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির লেকচারার আব্দুল্লাহ আল নাঈম এর সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলার জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো তালাত তাসনিম এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালাহ উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, সবার আগে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। শব্দ দুষণ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, সে উপায় বের করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা যেন অন্যের বিরক্তির কারণ না হই সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য আমাদের চরিত্র পরিবর্তন করতে হবে। সর্বোপরি আমরা আমাদের রাষ্ট্রের উন্নয়নের স্বার্থে শব্দ দুষণে প্রথম হতে চাই না। এটি স্বাস্থ্য ও পরিবেশের পাশাপাশি বিনিয়োগের সাথেও সম্পৃক্ত।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল বলেন, শব্দদূষণ আইন বাস্তবায়নে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। শুধু আইন প্রয়োগ করে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। ব্যাপকহারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ড্রাইভার, যুবক সমাজ বিশেষকরে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে এ বিষয়ে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আর শব্দদুষণের আইন বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে। তবে এ আইনকে আরো যুগোপযুগী করতে হবে যাতে ট্রাফিক পুলিশ এ আইন প্রয়োগ করতে পারে।

মেডিকেল অফিসার ডা. মো তালাত তাসনিম বলেন, শব্দ দূষণে বধিরতার পাশাপাশি আয়ুও কমে যায়। উচ্চ রক্তচাপ বাড়াসহ নানাবিধ রোগ সৃষ্টি হয়।

পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালিত শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের শব্দ দূষণের ওপর জরিপ করছে ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ণ কেন্দ্র (ক্যাপস)। তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের নেতৃত্বে পরিচালিত টিম ঝিনাইদহ শহরে শব্দ দূষণের মাত্রা জানতে ৫ স্থানের সাউন্ড লেভেল মিটার স্থাপন করে। এ মেশিনটি প্রতি এক মিনিট পরপর তথ্য দেবে। যার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার শব্দ দূষণের মাত্রা জানা যাবে।