পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসি’র গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকে আইনগতভাবে অকার্যকর বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমনিল

প্রকাশিত: ১২:২৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৩

পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসি’র গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকে আইনগতভাবে অকার্যকর বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমনিল

কূটনৈতিক প্রতিবেদক | দ্য হেগ, ১৮ মার্চ ২০২৩ : রুশ প্র্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসি’র গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকে আইনগতভাবে অকার্যকর বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমনিল।
শুক্রবার আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালত রুশ প্র্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ মন্তব্য করেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলগুলো থেকে শিশুদের রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে পুতিনের জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার এ ঘোষণা দেয়।
পুতিন ছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। একই অভিযোগ তার বিরুদ্ধেও।
ইউক্রেনে রাশিয়া ব্যাপকভাবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত জাতিসংঘ তদন্ত দলের এমন অভিযোগের এক দিন পরই এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো।
রাশিয়া ইউক্রেনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকা থেকে শিশুদের সরিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে ওই তদন্ত দলও।
এদিকে আইসিসি’র এ গ্রেফতারি পরোয়ানাকে প্রত্যাখান করেছে রাশিয়া। দেশটি একে ‘অকার্যকর ও তাৎপর্যহীন’ বলে মন্তব্য করেছে।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, বিভিন্ন দেশের মতো রাশিয়াও একটি দেশ যারা এই আদালতের এখতিয়ারকে স্বীকার করে না। সুতরাং আইনগতভাবে এই সিদ্ধান্ত অকার্যকর।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই সিদ্ধান্তের কোনো জবাব আমাদের কাছে নেই। আইনগত দিক দিয়েও এর কোনো অর্থ নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘ রাশিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বিষয়ক রোম সনদে অংশ নেয়নি। আর এর অধীনে চলার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত যেখান থেকে ঐতিহাসিক দায়িত্ব শুরু হবে।
ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্র দেশসমূহও এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ওয়ারেন্ট ইস্যুকে ‘ন্যায়সঙ্গত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
ব্রিটেনও এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, এটি কেবলমাত্র শুরু।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রুশ বাহিনীর কাছে পর্যুদস্ত অনেকের কাছেই এটি একটি মহান উদ্যেগ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ