নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য ২১ গাইডলাইন

প্রকাশিত: ২:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২৩

নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য ২১ গাইডলাইন

বিশেষ প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৩ আগস্ট ২০২৩ : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য ২১টি গাইডলাইন প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসব গাইডলাইন পর্যবেক্ষকদের জন্য সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনে খসড়া অনুমোদন করার পর আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পর্যবেক্ষকদের গাইডলাইন চূড়ান্ত হবে।

বুধবার (২৩ আগস্ট ২০২৩) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এসব কথা জানান।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা নিয়ে পাঁচ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৈঠকে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন, এনবিআর, তথ্য ও সম্প্রচারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মূলত বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মতামত নেয় ইসি।

বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা ‘যুগোপযোগী’ করার পাশাপাশি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের যন্ত্রপাতি আনা ও কর অব্যাহতির বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। এতে পর্যবেক্ষকদের মেনে চলার জন্য ২১টি গাইডলাইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মানতে হবে এ গাইডলাইন।

অশোক কুমার বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষকদের গাইডলাইন নিয়ে সামনে আরও বসা হবে। এরপর খসড়া কমিশন অনুমোদন করবে। যা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্ত হবে।’

ইসি সূত্র জানায়, ইসির আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় ভোট পর্যবেক্ষণে আসতে বিদেশিদের আবেদন সীমা, প্রয়োজনীয় কারিগরি সুযোগ-সুবিধা ও প্রাক নির্বাচনী একটি প্রতিনিধি দলের সুপারিশ পর্যালোচনা করে নীতিমালা হালনাগাদের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে ৮১টি দেশি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের ২৫ হাজার ৯০০ জন প্রতিনিধি। এছাড়া ৩৮ জন (ফেমবোসা, এএইএ, ওআইসি ও কমনওয়েল্থ থেকে আমন্ত্রিত) বিদেশি পর্যবেক্ষক, বিভিন্ন বিদেশি মিশনের ৬৪ জন কর্মকর্তা এবং দূতাবাস ও বিদেশি সংস্থায় কর্মরত ৬১ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় পর্যবেক্ষকও কম ছিল। ওই নির্বাচনে মাত্র ৪ জন বিদেশি এবং স্থানীয় ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার ৮৭৪ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।

২০০৮ সালে ৫৯৩ জন বিদেশি এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন দেশি, ২০০১ সালে ২২৫ জন বিদেশি এবং ২ লাখ ১৮ হাজার জন দেশি, ১৯৯৬ সালে প্রায় ৪০ হাজার দেশি এবং ২৬৫ জন বিদেশি, ১৯৯১ সালে ৩০ হাজার দেশি এবং ৫৯ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।